ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
উত্তরের ব্যবসা- বাণিজ্য কেন্দ্র নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের গোড়াপত্তন হয়েছিল ব্রিটিশ কোম্পানি শাসনামলে। আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে স্থাপিত হলে সৈয়দপুরের গুরুত্ব বেড়ে যায় বহুগুণ। সে সময়ে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের সৈয়দপুর ছিল একটি ছোট্ট রেলওয়ে স্টেশন। এই স্টেশনের ঠিক উত্তর পার্শ্বে স্থাপন করা হয় ছোট একটি লোকোশেড। এই লোকোশেডটি ছিল আজকের দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ভিত্তিভূমি।
নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে উত্তরাঞ্চলের সর্বপ্রথম ও প্রাচীনতম ক্যাথলিক গির্জা (Catholic Church) অবস্থিত। ১৮৮৬ সালে সৈয়দপুর রেলওয়েতে কর্মরত অ্যাংলো ইন্ডিয়ান ক্যাথোলিক ও প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টানদের জন্য এই গির্জাটি নির্মাণ করা হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে স্থাপিত হলে সৈয়দপুরের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। রেলওয়ে ষ্টেশনের ঠিক উত্তর পাশেই একটি ছোট লোকোশেডকে ঘিরে প্রায় ১১০ একর জায়গা জুড়ে রেলওয়ে কারখানা গড়ে তোলা হয়। রেলওয়ে কারখানায় বাঙ্গালী ও বিহারীদের পাশাপাশি রোমান ক্যাথোলিক এবং প্রোটেস্ট্যান্ট সম্প্রদায়ের ব্রিটিশ ও অ্যাংলো ইন্ডিয়ান কাজ করতো। কর্মরত খ্রিষ্টানদের উপাসনার জন্য ব্রিটিশ সরকার সাহেব পাড়ার দুইপ্রান্তে রোমান ও ইউরোপীয় স্থাপত্য কলার সমন্বয়ে দুইটি গির্জা নির্মাণ করেন। এর একটি ছিল রোমান ক্যাথলিক ও অপরটি প্রোটেষ্টান্ট সম্প্রদায়ের।
ব্রিটিশ সরকার ১৮৯২ সালে গির্জার পাশেই রেলওয়ের ৩ বিঘা জমির উপর পুরোহিত ভবন নির্মাণ করে। এর মধ্যে রেলওয়ে কারখানা গেট সংলগ্ন গির্জাটি কুমারী মরিযমের নামে উৎসর্গ করা হয়। তখন ফাদার ফ্রান্সিস বোক্কা লিমে মহমতি যিশু খ্রিষ্টের ভক্ত-অনুরক্তদের নিয়ে আধ্যাত্মিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন। সৈয়দপুরের পুরনো গির্জা ও পুরোহিত ভবন নির্মাণের পর সিস্টারস অব চ্যারিটি সম্প্রদায়ের সিস্টাররা এই ধর্মপল্লীতে আসেন। পরে এদের প্রচেষ্টায় সেন্ট জেরোজা নামে একটি স্কুল চালু করা হয়। সেখানে এখনও সুনামের সাথে ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করছে। কালের বিবর্তনে ব্রিটিশ ও এ্যাংলো ইন্ডিয়ানরা চলে গেলেও রয়ে গেছে ক্ষুদ্র পরিসরে তাদের গড়া ধর্মপল্লী, সাব-অর্ডিনেট কলোনি, সাহেবপাড়া ও অফিসার্স ক্লাব। সে সাহেবরা আর নেই। কিন্ত রয়ে গেছে সাহেবপাড়ার দু’প্রান্তে তাদের গড়া দুটি দর্শনীয় গির্জা যার স্থাপত্য কলা ও নির্মাণ শৈলী মুগ্ধ করে আগত প্রতিটি মানুষকে।
কিভাবে যাবেন?
সৈয়দপুর রেলস্টেশনের কাছেই ক্যাথোলিক গির্জার অবস্থান।
কোথায় থাকবেন?
নীলফামারী জেলায় হোটেল প্রিমিয়ার, রনি ড্রিম, শিশির হোটেল, অবকাশ হোটেল, নাভানা রেস্ট হাউজ, আর রহমান প্রভৃতি আবাসিক হোটেল রয়েছে।
কোথায় খাবেন?
নীলফামারীতে তাজিন উদ্দিন গ্র্যান্ড হোটেল, দারুচিনি ক্যাফে, হোটেল টিপ টপ, হোটেল স্টার, হোটেল আকবরিয়া ও হোটেল রহমতিয়া ইত্যাদি রেস্তোরাঁ আছে।