দারাসবাড়ি মসজিদ | Darashbari Mosque 21/01/2022


PC:


দারাসবাড়ি মসজিদ (Darashbari Mosque) চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের অমপুর নামক স্থানের কাছে অবস্থিত। স্থানীয় বাসীন্দারা এই মসজিদের স্থানটিকে দারাসবাড়ি নামে চেনে। মসজিদের একটি আরবি শিলালিপি অনুসারে ৮৮৪ হিজরি অনুযায়ী ১৪৭৯ সালে সুলতান শামসউদ্দিন ইউসুফ শাহের রাজত্বকালে তারই নির্দেশে মসজিদটি নির্মিত হয়।

 

ঐতিহাসিক অনুসন্ধানের সময় মুনশী এলাহী বখশ কর্তৃক আবিস্কৃত একটি আরবী শিলালিপি অনুযায়ী (লিপি-দৈর্ঘ্য ১১ ফুট ৩ ইঞ্চি, প্রস্থ ২ফুট ১ ইঞ্চি) ১৪৭৯ খ্রিস্টাব্দে (হিজরী ৮৮৪) সুলতান শামস উদ্দীন ইউসুফ শাহের রাজত্বকালে তাঁরই আদেশক্রমে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। শুরুতে মসজিদটির নাম ছিল ফিরোজপুর মসজিদ কিন্তু ১৫০৪ সালে দারাসবাড়ি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর মানুষের মুখে মুখে দারাসবাড়ি মসজিদ নামটি পরিচিত হয়ে উঠে। টেরাকোটা ইট দিয়ে তৈরি দারাসবাড়ি মসজিদটির সাথে ভারতের চামচিকা মসজিদের অনেক সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।

 

মসজিদের ভেতরের আয়তক্ষেত্র দুই ভাগে বিভক্ত এবং এর মূল গম্বুজটি দেখতে অনেক আকর্ষণীয়। দারাসবাড়ি মসজিদের দৈর্ঘ্য ৯৯ ফুট ৫ ইঞ্চি ও প্রস্থ ৩৪ ফুট ৯ ইঞ্চি এবং মসজিদের পূর্ব দিকে ১০ ফুট ৭ ইঞ্চি লম্বা একটি বারান্দা রয়েছে। মসজিদে মোট ৯ টি কারুকার্যময় মেহরাব রয়েছে। আর মসজিদটির উত্তর দিকে রয়েছে প্রায় ৬০ বিঘা আয়তনের একটি বিশাল দিঘী। ঐতিহাসিক দারাসবাড়ি মসজিদ থেকে প্রাপ্ত তোগরা অক্ষরে উৎকীর্ণ ইউসুফি শাহী লিপিটি বর্তমানে কলকাতা জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।

 

কিভাবে যাবেন?

রাজশাহী থেকে লোকাল বাসে চড়ে ৭০ টাকা ভাড়ায় কানসাট এসে, সেখান থেকে ১০/১৫ টাকা অটো ভাড়ায় দারাসবাড়ি মসজিদে পৌঁছাতে পারবেন।

 

কোথায় থাকবেন?

আপনার যদি রাতে থাকার প্রয়োজন হয় সেইক্ষেত্রে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরে থাকার জন্যে মোটামুটি মানের বেশকিছু হোটেল আছে। উল্লেখযোগ্য হোটেলের মধ্যে রয়েছে হোটেল রোজ, হোটেল আল নাহিদ, হোটেল স্বপ্নপুরী, নবাবগঞ্জ বোডিং এবং হোটেল রংধনু। তবে পরিবেশ তেমন ভাল না। ভালো কোথাও থাকতে চাইলে আপনার রাজশাহী শহরে চলে আসতে হবে। রাজশাহী শহরে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মোটেলে ১৯০০ থেকে ৪৬০০ টাকায় বিভিন্ন মানের রুম পাবেন। অন্যান্য আবাসিক হোটেলের মধ্যে হোটেল হক্স ইন, নাইস ইন্টারন্যাশনাল, মুক্তা ইন্টারন্যাশনাল, ডালাস ইন্টারন্যাশনাল শুকরান ইত্যাদি হোটেলে ৫০০ থেকে ৩০০০ টাকায় রুম পাবেন।

 

কোথায় খাবেন?

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে সারুয়ার হোটেল, ভাই ভাই হোটেল, শরিফা হোটেল মতো বেশ কিছু খাবারের রেস্তোরা আছে। আর সুযোগ হলে শিবগঞ্জের আদি চমচম খেয়ে দেখতে পারেন।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?