খালিয়া জমিদার বাড়ি | Khalia Zamidar Bari 14/01/2022


PC:


PC:Faisal Hossain

মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার খালিয়ায় রাজা রামমোহন রায়ের বাড়ি হিসেবে পরিচিত ঐতিহাসিক খালিয়া জমিদার বাড়ির (Khalia Zamidar Bari) অবস্থান। প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো এই বাড়িটি উজানির জমিদার থেকে পাওয়া একটি জমিদার বাড়ি। রাজারাম রায়ের এই জমিদারির গোড়াপত্তন কবে হয় সে সস্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট ধারণা কারো নেই। তবে রাজারাম রায়ের নামে সপ্তদশ শতাব্দীতে একটি মন্দির নির্মিত হয়েছে। এ থেকে ধারণা করা হয় সপ্তদশ শতাব্দীতেই এই জমিদারির গোড়া পত্তন হয়।

 

১৭০০ শতকের দিকে নির্মিত রাজা রামমোহন রায়ের খালিয়া জমিদারী পাওয়া নিয়ে একটি লোক-কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। অনেক অনেক বছর আগের কথা। তখন রাজা রামমোহন রায়ের বাবা-মা ছিলেন অত্যন্ত দরিদ্র। তারা দুজনেই উজানী রাজার বাড়িতে দাস-দাসি হিসেবে কাজ করতেন। উজানীর রাজা ছিলেন অনেক ধনী। তার সাতটি জমিদারি ছিল। রাজা রাম মোহন রায় তখন খুবই ছোট। তাকে উজানী রাজার বাড়ির বারান্দায় রেখে দুজনে কাজে যেতেন। রোদ-বৃষ্টির মধ্যে থাকতে হত রাজা রামমোহনকে। এ সময় ফনিমনসা এসে রাজারাম মোহনকে ছায়া দিয়ে রাখত। বিষয়টি কেউ দেখতে পেত না। একাধিক দিন উজানীর রাজা দেখেন রোদের মাঝে ফনিমনসা শিশু রামমোহনকে ছায়া দিচ্ছে। বিষয়টি একদিন রানীকে দেখান। পরে রানী দেখেন রামমোহনের গায়ে রাজতিলক। যাদের গায়ে রাজতিলক থাকে তারা একদিন রাজা হয়। উজানীর রাজার এসব দেখে তার সাতটি জমিদারি থেকে একটি জমিদারি দান করেন রামমোহনকে। আর দাসত্ব থেকে মুক্তি দেন তার মা-বাবাকে।

 

প্রায় ২৫০ একর জমির ওপর অবস্থিত রাজারামের খালিয়া জমিদার বাড়িটি। জমিদার আমলে এখানে গড়ে তোলা হয় আকর্ষণীয় দোতলা-তিনতলা বিশিষ্ট দালান-কোঠা ও বাগানবাড়ি। এখানকার সারিবদ্ধ দালান-কোঠা, বাগানবাড়ি, পূজা মন্ডপ ও শানবাঁধানো পুকুর ঘাট আজও কালের স্বাক্ষী হয়ে টিকে আছে।  বর্তমানে রাজা রামমোহন রায়ের বাড়ির মন্দির প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

 

কিভাবে যাবেন?

ঢাকার গাবতলী ও কেরানিগঞ্জ থেকে মাদারীপুরগামী বিভিন্ন সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে। গাবতলী থেকে সার্বিক, চন্দ্রা ও সোহেল পরিবহনের বাসে মাদারীপুর যেতে পারবেন। এছাড়া গাবতলী থেকে বরিশালগামী বাসে মোস্তফাপুর নেমে সেখান থেকেও মাদারীপুর সদরে যাওয়া যায়। আর ঢাকার সদরঘাট থেকে এমভি তরীকা বা দ্বীপরাজের লঞ্চ সার্ভিস মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে। মাদারীপুর জেলা থেকে বাসে বা সিএনজিতে রাজৈর উপজেলা পৌঁছে স্থানীয় পরিবহণে রাজা রামমোহন রায়ের বাড়ি বা খালিয়া জমিদার বাড়িতে যেতে পারবেন।

 

কোথায় থাকবেন?

মাদারীপুর শহরে থাকার জন্য হোটেল মাতৃভূমি, সুমন হোটেল, হোটেল পলাশ, সৈকত হোটেল, হোটেল সার্বিক ইন্টারন্যাশনাল ও হোটেল জাহিদ প্রভৃতি আবাসিক হোটেল রয়েছে।

 

কোথায় খাবেন?

রাজৈর উপজেলায় সাধারণ মানের বেশকিছু খাবারের হোটেল রয়েছে। আরও ভালমানের খাবারের জন্য মাদারীপুর জেলার রেস্টুরেন্টগুলোতে যেতে পারেন।

 

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?