ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
রাজারাম মন্দির (Raja Ram Temple), মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার খালিয়া গ্রামে অবস্থিত যা মাদারীপুর জেলার প্রাচীনতম মন্দির। সপ্তদশ শতাব্দিতে নির্মিত মন্দিরটি মহাকালকে উপেক্ষা করে আজো ঠিকে রয়েছে। জানা যায়, তৎকালীন হিন্দু জমিদার কালীসাধক রাজারাম রায় চৌধুরী মন্দিরটি বিপুল অর্থ ব্যয়ে নির্মাণ করেছিলেন। তবে নির্মাণের সঠিক তারিখ জানা যায়নি। অনেকেই মনে করেন এটি ১৮২৫ সালের দিকে নির্মিত হয়েছিল। নির্মাতার নামেই এটি পরিচিত হয়ে উঠেছে। জমিদার রাজারাম রায় চৌধুরী নিজেই এ মন্দিরে পূজা করতেন।
দোতলা বিশিস্ট মন্দিরটি দেখতে অনেক চৌচালা ঘরের মত। ২৩ শতাংশ জমির উপর নির্মিত মন্দিরের দৈর্ঘ্য ২০ ফুট, প্রস্থ ১৬ ফুট এবং উচ্চতা ৪৭ ফুট। দ্বিতল মন্দিরের টেরাকোটায় রামায়ণ ও মহাভারতের বিভিন্ন দৃশ্যাবলী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নিপুণ দক্ষতায়। মন্দিরের একতলায় ৩টি এবং দ্বোতলায় ৬টি কক্ষ রয়েছে। মন্দিরটির পাশেই একটা রান্নাঘর আছে। যা মূলত ধ্বংসপ্রায় অবস্থা। এই রান্না ঘরে মূলর পূজো অর্চনার জন্য ভোগ তৈরি করা হত।
এছাড়া মন্দিরের গায়ে রয়েছে বিভিন্ন দেব-দেবী, পশু-পাখি ও লতা-পাতার অসংখ্য চিত্র। দক্ষ শিল্পীদের নিপুণ হাতের কারুকাজ শত বছর পরও মানুষের মন কাড়ে। মন্দিরের অলঙ্করণের জন্য ব্যবহৃত টেরাকোটায় রয়েছে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ, রামায়ণ ও মহাভারতের নানা কাহিনি। বর্তমানে মন্দিরটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করে দেখাশোনার জন্য জাতীয় জাদুঘর ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ একজন সাইড পরিচালক নিয়োগ করেছে। ধ্বংসের আগেই দেখে আসতে পারেন মন্দিরটি।
কিভাবে যাবেন?
ঢাকার গাবতলী ও কেরানিগঞ্জ থেকে মাদারীপুরগামী বিভিন্ন সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে। গাবতলী থেকে সার্বিক, চন্দ্রা ও সোহেল পরিবহনের বাসে মাদারীপুর যেতে পারবেন। এছাড়া গাবতলী থেকে বরিশালগামী বাসে মোস্তফাপুর নেমে সেখান থেকেও মাদারীপুর সদরে যাওয়া যায়। আর ঢাকার সদরঘাট থেকে এমভি তরীকা বা দ্বীপরাজের লঞ্চ সার্ভিস মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে। মাদারীপুর জেলা থেকে বাসে বা সিএনজিতে রাজৈর উপজেলা পৌঁছে স্থানীয় পরিবহণে রাজা রামমোহন রায়ের বাড়ি বা খালিয়া জমিদার বাড়ির পাশেই অবস্থিত রাজারাম মন্দির দেখতে যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন?
মাদারীপুর শহরে থাকার জন্য হোটেল মাতৃভূমি, সুমন হোটেল, হোটেল পলাশ, সৈকত হোটেল, হোটেল সার্বিক ইন্টারন্যাশনাল ও হোটেল জাহিদ প্রভৃতি আবাসিক হোটেল রয়েছে।
কোথায় খাবেন?
রাজৈর উপজেলায় সাধারণ মানের বেশকিছু খাবারের হোটেল রয়েছে। আরও ভালমানের খাবারের জন্য মাদারীপুর জেলার রেস্টুরেন্টগুলোতে যেতে পারেন।