ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
PC:LM Tanzil
শকুনি লেক (Sokuni Lake) মাদারীপুর জেলা সদরে শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মানবসৃষ্ট দীঘি। তটভূমিসহ শকুনি দীঘির আয়তন ১,০১,১৭২ বর্গমিটার, দৈর্ঘ্য ৪৮৬ মিটার ও প্রস্থ ১৯৮ মিটার। কাগজপত্রে এর নাম ‘শকুনি দীঘি’ হলেও স্থানীয়দের কাছে এটি ‘মাদারিপুর লেক’ হিসেবে সুপরিচিত।
১৯৪৩ সালে মাদারিপুর শহরকে প্রমত্তা আড়িয়াল খাঁ নদের পাড় থেকে নতুন করে স্থাপনের জন্য দক্ষিণে সরিয়ে আনার লক্ষ্যে এ দীঘিটি খনন করা হয়। ঐতিহাসিকদের মতে, ১৯৪৩ সালে লেকটি খনন করে এর চারপাশে নতুন শহর স্থাপন করা হয়। ঐ সময় এ অঞ্চলে মাটিকাটা শ্রমিকের অভাব থাকায় এই লেক খনন করার জন্য তৎকালীন ব্রিটিশ প্রশাসন ভারতের বিহার ও ঔরিষ্যা অঞ্চলের ২ হাজার শ্রমিকেরা প্রায় এক বছরের বেশী সময় ব্যয় করে এ দীঘিটি খনন করে। ফলে মাদারীপুর নতুন শহরটি নীচু ভূঁমি, উঁচু ভূমি করে মানুষের বাসযোগ্য করে গড়ে তোলা হয়। অন্য দিকে দীঘিটি শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে তোলে।
দীঘিটির মিঠা পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মাছ। বেলা গড়িয়ে যতই বিকাল হতে থাকে প্রায় ২০ একর আয়তনের এই লেকে ততই জনসমাগম বাড়তে থাকে। শহরের মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে অবসর সময় কাটাতে ছুটে আসেন এই শকুনি লেকে। দীঘির চারপাশে রয়েছে মাদারীপুর পুরানো কোর্ট ভবন যা বর্তমানে বঙ্গবন্ধু ল’ কলেজ, শিশু একাডেমী, টেনিস ক্লাব, স্বাধীনতা অঙ্গন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, শহীদ মিনার, সার্কিট হাউস, মুক্তিযোদ্ধা মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমীসহ অনেক প্রতিষ্ঠান যা শহরের সৌন্দর্যকে মনোরম করে তুলছে। আর লেকের কাছের দোকানগুলোতে সুস্বাদু মিষ্টি পাওয়া যায়, যার সুখ্যাতি ছড়িয়ে আছে সারা বাংলাদেশে।
কিভাবে যাবেন?
মাদারীপুর নতুন বাস স্ট্যান্ড নেমে ২০ টাকা রিকশা ভাড়ায় সহজেই শকুনি লেক পৌঁছাতে পারবেন। এছাড়া গাবতলি থেকে বরিশালগামী যেকোন বাসে চড়ে মোস্তফাপুর নেমে সেখান থেকে বাস বা অটোরিক্সায় মাদারীপুর সদর যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন?
মাদারীপুরে থাকার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল রয়েছে। হোটেল সার্বিক, হোটেল মাতৃভূমি, হোটেল সৈকত এবং সুমন হোটেল উল্লেখযোগ্য। এছাড়া জেলা পরিষদের ডাক বাংলোতেও থাকার সুযোগ রয়েছে।
কোথায় খাবেন?
দিনের স্বাভাবিক খাবারেরে চাহিদা মেটানোর জন্য মাদারীপুরে বিভিন্ন মানের খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এছাড়া শকুনি লেকের কাছের দোকান থেকে চটপটি, ফুচকা এবং সুস্বাদু মিষ্টি খেতে ভুল করবেন না।