ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
আলোকচিত্র:Mohammad Hedayet
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এই স্থাপত্য নিদর্শনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা চত্বর থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার পশ্চিমে আরিফাইল গ্রামে অবস্থিত ‘আরিফাইল মসজিদ’ নামে। স্থানীয়রা এটিকে ‘আইড়ল মসজিদ/গায়েবি মসজিদ’ নামেও ডাকে।
১৬৬২ সালে নির্মিত এই ঐতিহাসিক মসজিদটি কে বা কারা নির্মাণ করেন তা নিয়ে রয়েছে নানা মতবাদ। কেউ বলেন দরবেশ শাহ আরিফ মসজিদটি নির্মাণ করেন এবং তার নামানুসারে মসজিদটির নামকরণ করা হয়। আবার কারো কারো মতে, একদা ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী সরাইল, বারো ভূঁইয়ার একজন ঈশা খাঁর শাসনে ছিল। তৎসময় ঈশা খাঁ এ মসজিদ ও পার্শ্ববর্তী জোড়া কবর নির্মাণ করেন এবং মসজিদটিও নির্মাণ সম্পন্ন করেন। অনেকে বলেন কবর দুটি ঈশা খাঁর দুই স্ত্রীর সমাধিসৌধ। শোনা যায়, কবর দুটি থেকে নিচ দিকে একটি সুড়ঙ্গ অনেক দূর পর্যন্ত চলে গিয়েছে যা এই মসজিদটিকে পর্যটকদের কাছে করেছে আকর্ষিত।
মুঘল আমলের এই স্থাপত্য নিদর্শনটি চমৎকার স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত। সাড়ে পাঁচ ফুট পুরুত্বের দেয়াল দিয়ে ঘেরাও মসজিদটির আয়তন ৮০ x ৩০ ফুট। চার কোনায় চারটি বুরুজ এবং পদ্মফুল অঙ্কিত তিনটি গম্বুজ। গম্বুজগুলোর নিচে মসজিদের অভ্যন্তরভাগে তিনটি বে রয়েছে যা ভিতরের অংশকে তিন ভাগে ভাগ করেছে। বাহিরের দেয়ালটি বিভিন্ন রঙের চার কোনা খোপ দিয়ে নকশা করা। মোট ৫ টি প্রবেশ পথ রয়েছে মসজিদটিতে। যার তিনটি পূর্বদিকে এবং দুটি উত্তর ও পূর্বদিকে। বর্তমানে মসজিদটি বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের অধীনে সংরক্ষিত রয়েছে। মসজিদের পাশেই রয়েছে বিশাল আয়তনের সাগরদিঘী।
কিভাবে যাবেন?
ট্রেন- ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী ও কুমিল্লার যেকোনো ট্রেনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসা যায়; সুবর্ণ এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা ও কালনী এক্সপ্রেস বাদে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ-গামী ট্রেনে ভৈরব নেমে বাসে করে ১ ঘণ্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে আসা যায়।
এছাড়া বাসে করে যেতে চাইলে কমলাপুর ও এয়ারপোর্ট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-গামী সোহাগ, তিতাস, তিশা , রয়েল পরিবহন , ইকোনো ডিলাক্স অন্যতম । ভাড়া ১৬০ থেকে ২০০ টাকা।