ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুতে মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী দমনে এক ভয়াবহ রচনায় শহীদ হন। হাওড়া নদীর তীরে তিনি বহু পাক হানাদারকে আহত করেছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার দরুইন গ্রামে তার শাহাদাত স্থানের পাশেই এ গ্রামের জনগণ তাকে সমাহিত করেন যেখানে তার স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।
১৬ এপ্রিল পাকবাহিনী চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য কুমিল্লা-আখাউড়া রেললাইন ধরে উত্তর দিকে এগুতে থাকে। ১৮ই এপ্রিল পরদিন ভোরবেলা পাকিস্তান সেনাবাহিনী দরুইন গ্রামে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের উপর মর্টারের গোলাবর্ষণ শুরু করলে মেজর শাফায়াত জামিল ১১ নম্বর প্লাটুনকে দরুইন গ্রামে আগের প্লাটুনের সাথে যোগ দেয়ার নির্দেশ দেন। ১১ নম্বর প্লাটুন নিয়ে হাবিলদার মুনির দরুইনে পৌছেন। বেলা ১১ টার দিকে শুরু হয় শত্রুর গোলাবর্ষণ। সেই সময়ে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। সাড়ে ১১টার দিকে মোগরা বাজার ও গঙ্গা সাগরের শত্রু অবস্থান থেকে গুলি বর্ষিত হয়। ১২ টার দিকে আসে পশ্চিম দিক থেকে সরাসরি আক্রমণ। প্রতিরক্ষার সৈন্যরা আক্রমণের তীব্রতায় বিহ্বল হয়ে পড়ে। কয়েক জন শহীদ হন। মোস্তফা কামাল মরিয়া হয়ে পাল্টা গুলি চালাতে থাকেন। তার পূর্ব দিকের সৈন্যরা পেছনে সরে নতুন অবস্থানে সরে যেতে থাকে এবং মোস্তফাকে যাবার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু তাদের সবাইকে নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগের জন্য মোস্তফা পূর্ণোদ্যমে এল.এম.জি থেকে গুলি চালাতে থাকেন। তার ৭০ গজের মধ্যে শত্রুপক্ষ চলে এলেও তিনি থামেননি। এক সময় গুলি শেষ হয়ে গেলে, শত্রুর আঘাতে তিনি মারত্মক ভাবে জখম হন। এরপর পাকিস্তান বাহিনীর সৈনিকেরা নির্মম ভাবে তাঁকে হত্যা করে।
দরুইল গ্রামের মানুষেরা সম্মান ও আন্তরিকতার সাথে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের কবর দেন। অসীম সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করে। ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আখাউড়ার দরুইন গ্রামের মানুষ বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের স্মৃতি আজো পরম যত্নে সংরক্ষণ করে চলেছে। তিনি যে স্থানে যুদ্ধ করেছিলেন বর্তমানে সেখানে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে।
কিভাবে যাবেন?
ঢাকা হতে ট্রেনে সরাসরি আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে চলে আসতে হবে। শ্রেণিভেদে ট্রেনের টিকেটের ভাড়া লাগবে জনপ্রতি ৭০ থেকে ২৬৫ টাকা। এছাড়া চট্টগ্রামগামী যে সকল ট্রেন আখাউড়া স্টপেজ দেয় সেগুলির যেকোন একটা ট্রেনে চেপেও আখাউড়া আসতে পারবেন। আখাউড়া থেকে স্থানীয় পরিবহণ ব্যবস্থায় দরুইন গ্রামে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের সমাধিস্থলে যেতে পারবেন।
কোথায় খাবেন?
সাথে করে কিছু শুকনো খাবার নিয়ে নিতে পারেন। ভালো কিছু খেতে হলে আখাউড়া এসে খেতে হবে। আখাউড়ায় বাজারে নাইন ষ্টারের গরুর মাংসের খিচুড়ি সুনাম আছে