ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
তিতাস নদী ধরে কাছাকাছি আসতেই দৃষ্টিসীমায় ধরা দিল প্রায় ৫ একর জমির উপর নির্মিত সুদৃশ্য হরিপুর রাজবাড়িটি। গ্রামের পশ্চিম পাশে এবং নাসিরনগর সদর হতে ১৫ কিমি দক্ষিণপূর্বে তথা নাসিরনগর উপজেলা ও মাধবপুর উপজেলা সংযোগ পথে অবস্থিত। জমিদারবাড়ির মুল ফটক নদীর দিকে মুখ করা। মোট ৬০ টি কক্ষ, দরবার হল, রংমহল, ধানের গোলা, গোয়ালঘর, নাচ ঘর, মল পুকুর, রন্ধনশালা, খেলার মাঠ এবং মন্দির নিয়ে গঠিত এ জমিদার বাড়িটি নিশ্চয়ই আপনার নজর কাড়বে। স্থানীয়রা একে হরিপুর বড়বাড়িও বলে সম্বোধন করেন।
ঐতিহাসিকদের তথ্য মতে প্রায় ১৭৫ বছর আগে জমিদার গৌরী প্রসাদ রায় চৌধুরী ও কৃষ্ণ প্রসাদ রায় চৌধুরী হরিপুর জমিদার বাড়ি নির্মাণ করেন। কৃষ্ণ প্রসাদ রায় চৌধুরীর মৃত্যুর পর হরিপদ রায় চৌধুরী ও শান্তি রায় চৌধুরী এবং পরবর্তীতে উপেন্দ্র রায় চৌধুরী ও হরেন্দ্র রায় চৌধুরী উত্তরাধিকারসুত্রে এই জমিদার বাড়ির মালিকানা ও জমিদারি লাভ করেন। ১৯৪৭ সালের পর জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে উপেন্দ্র রায় চৌধুরী ও হরেন্দ্র রায় চৌধুরী হরিপুর জমিদার বাড়িতে পুরোহিতদের রেখে কলকাতায় পাড়ি জমান। বাড়িটির পশ্চিম পার্শ্বে সান বাঁধানো ঘাট রয়েছে যা নদীতে গিয়ে নেমেছে এবং এর উভয় পার্শ্বে মঠদ্বয় সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে তার একটি উত্তর পার্শ্ব কৃষ্ণপ্রসাদ রায় চৌধুরী ও অপরটি দক্ষিণ পার্শ্বে গৌরীপ্রসাদ রায় চৌধুরীর।
হরিপুর বড়বাড়ি একটি দুই গম্বুজ এবং ত্রিতল বিশিষ্ট বাড়ি। বারিটির আয়তন এবং আড়ম্বরপূর্ণ স্থাপত্য ঐতিহাসিক যুগের শৈল্পিক নৈপুণ্যের স্বক্ষর বহন করে। নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ চলচ্চিত্রটির উল্লেখযোগ্য অংশ হরিপুর জমিদার বাড়িতে ধারন করা হয়। এছাড়াও ভারতের ‘মধু মালতি’ এবং বাংলাদেশের টেলিফিল্ম ‘নাইওরী’ ও এই স্থানটির ক্যামেরায় বন্দী হয়েছে। বর্তমানে, জমিদারগণের উত্তরসূরীদের কিয়দাংশ নীচতলায় বাস করে এবং উপাসনা করে।
কিভাবে যাবেন?
রাজধানী ঢাকা থেকে হরিপুর জমিদার বাড়ি যাওয়ার সবচেয়ে সহজ ও সুবিধাজনক রুট হচ্ছে ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে ধরে যাওয়া। ঢাকা হতে সিলেট অথবা হবিগঞ্জগামী বাসে মাধবপুর বাজারে নেমে সেখান থেকে সিএনজি ভাড়া করে জমিদার বাড়ি দেখতে যেতে পারবেন।