ঘাগুটিয়া পদ্মবিল | Ghagutia Poddo Beel 02/05/2021


PC:


বৈচিত্র্যময় এই বাংলাদেশে হাতেগোনা কয়েকটি পদ্মবিলের মধ্যে ঘাগুটিয়ার পদ্মবিল অন্যতম। এই পদ্মবিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামে ১২০ একর বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। একমাত্র পদ্মবিল যেখানে বাংলাদেশ-ভারতের একটি গ্রামেই যৌথভাবে ঠাই করে নিয়েছে। ঘাগুটিয়া পদ্মবিলের আগে আরেকটি ছোট পদ্মবিল পাবেন যেটা স্থানীয়দের কাছে মীনারকোট পদ্মবিল নামে পরিচিত।

 

এই বিলে লাখো লাখো পদ্ম ফুলের সমাহার দেখা যায়।  শুধু পদ্ম ফুলই নয়, বিভিন্ন ধরনের জলজ ফুল যেমন শালুক ফুল, চাঁদমালা ফুলে ছেয়ে থাকে। বর্ষায়  বিলে আসন পাতে শত শত পদ্ম ফুল যেনো সাদা-গোলাপীর সমারোহের গালিচায় আপ্যায়ন জানায়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গা দেবীর পূজায় কাজে লাগে এই পদ্ম ফুল। সে জন্য আশ্বিন মাসে এ বিল থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মানুষ প্রচুরসংখ্যক পদ্ম ফুল সংগ্রহ করে থাকে।  শুষ্ক মৌসুমে বিলের পানি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। আবারো বর্ষাকাল আসলে এই বিলটি পদ্ম এবং অন্যান্য জলজ ফুলে ভরে উঠে।

 

বিলের প্রায় ৮০ শতাংশ বাংলাদেশে থাকলেও বাকি অংশ পড়েছে ভারতের অংশে। পদ্মবিল যাবার জন্যে সবচেয়ে ভাল সময় আগষ্ট থেকে নভেম্বর মাস। আগষ্ট থেকে পদ্মফুল ফোটা শুরু হয় এবং তা থাকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত। শুকনো সময়ে এইখানে পদ্ম গাছ গুলো থাকেন, তখন সেই বিলে ধান চাষ হয়।

 

কিভাবে যাবেন?

ঢাকা থেকে ট্রেনে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন। ভাড়া ট্রেন ও শ্রেণিভেদে ৬৫ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। স্টেশনে নেমেই সিএনজিচালিত অটোরিকশা রিজার্ভ নিলে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় পৌঁছা যাবে বিল ঘাগুটিয়ায়। অটোরিক্সা রিজার্ভ নিয়ে নিলেই ভালো। কেননা ঘাগুটিয়া এলাকায় অটোরিক্সা নিয়মিত পাওয়া যায় না।

 

কোথায় খাবেন?

সাথে করে কিছু শুকনো খাবার নিয়ে নিতে পারেন। ভালো কিছু খেতে হলে আখাউড়া এসে খেতে হবে। আখাউড়ায় বাজারে নাইন ষ্টারের গরুর মাংসের খিচুড়ি সুনাম আছে। খেয়ে দেখতে পারেন।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?