ঝুলন্ত ব্রিজ | Hanging Bridge 16/04/2021


PC:


Photo Credit: VromonBuzz

 

পর্যটকদের কাছে দেশের যে কয়টি জেলা আগ্রহের কেন্দ্রে অবস্থান করে তার মধ্যে অন্যতম রাঙ্গামাটি। এর এই দর্শনীয় জেলার ল্যান্ডমার্ক আইকন হচ্ছে ঝুলন্ত সেতু।  কাপ্তাই হ্রদের উপর নির্মিত এই ৩৩৫ ফুট লম্বা ঝুলন্ত ব্রিজ ‘সিম্বল অফ রাঙ্গামাটি’ হিসাবে খ্যাত। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে গড়ে উঠা ‘পর্যটন হোলিডে কমপ্লেক্স’ এ তত্ত্বাবধানে এই ঝুলন্ত ব্রিজটিও নির্মাণ করা হয়।

 

নয়নাভিরাম বহুরঙা এই ঝুলন্ত সেতুটি দুইটি বিচ্ছিন্ন পাহাড়ের মধ্যে জুড়ে দিয়েছে আন্তরিক সম্পর্ক। ঝুলন্ত হওয়ায় সেতুটি পারাপারের সময় সৃষ্ট কাঁপুনি আপনাকে এনে দেবে ভিন্ন দ্যোতনা। এখানে দাঁড়িয়েই কাপ্তাই হ্রদের মনোরম দৃশ্য অবলোকন করতে পারবেন। ওপারেই রয়েছে আদিবাসী গ্রাম। ইচ্ছে হলেই দেখতে পাবেন আদিবাসী জীবনযাপনের ক্ষয়িষ্ণু চালচিত্র। দেখার জন্য প্রবেশ মূল্য হিসেবে পর্যটন কর্পোরেশনকে দিতে হবে বিশ টাকা।

 

কিভাবে যাবেন?

চট্টগ্রাম শহরের অক্সিজেন মোড় থেকে রাঙ্গামাটিগামী বিভিন্ন পরিবহণের লোকাল ও গেইটলক/ডাইরেক্ট বাস পাওয়া যায়। ভাড়া একটু বেশি হলেও গেইটলক বা ডাইরেক্ট বাসে উঠা উচিত। চট্টগ্রাম হতে রাঙ্গামাটি ডাইরেক্ট বাস ১৫০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। চট্টগ্রামের বহাদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকেও রাঙ্গামাটি যাবার বাস পাবেন।

রাঙ্গামাটি শহরের তবলছড়িতে নেমে অটোরিক্সা বা সিএনজিতে করে সরাসরি ঝুলন্ত ব্রিজে যাওয়া যায়। তবলছড়ি থেকে ঝুলন্ত ব্রিজে সিএনজি ভাড়া লাগে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আর রাঙ্গামাটির বনরূপা থেকে সিএনজি ভাড়া লাগে ১২০ টাকা।

 

কোথায় থাকবেন?

রাঙ্গামাটিতে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। রাঙ্গামাটি শহরের পুরাতন বাস স্ট্যন্ড ও রিজার্ভ বাজার এলাকায় লেকের কাছাকাছি হোটেল ঠিক করার চেষ্টা করুন। তাহলে হোটেল থেকে কাপ্তাই লেকের পরিবেশ ও শান্ত বাতাস উপভোগ করতে পারবেন। 

রাঙামাটিতে বিভিন্ন পয়েন্টে আপনি বেশকিছু হোটেল পাবেন, যেমনঃ  রিজার্ভ বাজার , দোয়েল চত্বর, রাঙামাটি মেইন বাজার (বনরূপা)।  নিচে কিছু হোটেলের নাম দেওয়া হলো। হোটেল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে বা অনলাইনে বুক করতে হোটেলের নামটিতে ক্লিক করুন।

.     Hotel Square Park.
.     Hotel Rajmahal International.
    Hotel Green Castle.
    Needs Hill View.

Book Now

 

কোথায় খাবেন?

রাঙ্গামাটিতে বিভিন্ন মানের অসংখ্য খাবার রেস্টুরেন্ট রয়েছে। ঝুলন্ত ব্রিজের ভিতরে একেবারে শেষ প্রান্তে দুইটা খাবার দোকান আছে। তাদের কাছে ভিন্ন রকম কিছু খাবার পাবেন, যা আপনে আগে কখনোই খাওয়া হয় নাই। অবশ্যই ট্রাই করবেন খাবার। সাধ্যের মধ্যে যেকোনো রেস্টুরেন্টে আপনার প্রতি বেলার খাবার সেরে ফেলতে পারেন। রেস্টুরেন্টে পাবেন স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী সব খাবার। ভিন্ন স্বাদের এইসব খাবারের স্বাদ নিতে ভুলবেন না।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?