ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
রাঙ্গামাটি সদর হতে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে বরকল উপজেলার শুভলং বাজারের পাশেই শুভলং ঝর্ণার (Shuvolong Jhorna) অবস্থান। বাংলাদেশের অন্য সকল ঝর্ণার মত শুভলং ঝর্ণাতেও শুকনো মৌসুমে পানি খুব কম থাকে। বর্ষায় এ ঝর্ণা হয়ে ওঠে নবযৌবনা, স্বয়ম্বরা। ভরা বর্ষা মৌসুমে এ ঝর্ণাটি প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু থেকে নীচে আঁচড়ে পড়ে এবং অপূর্ব সুরের মূর্ছনায় পর্যটকদের সযতনে মুগ্ধ করে। মূলত পাহাড়ি সবুজের মাঝে বিস্ময় হয়ে থাকা এই ঝর্ণাটি তার উচ্চতা ও অবিরাম জলস্রোতের কারণেই পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।
পাহাড়ের উপর থেকে পাথুরে মাটিতে ঝর্ণাধারা আঁচড়ে পড়ার অপূর্ব এ দৃশ্য ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। ঝর্ণার প্রধান ধারাটি কর্ণফুলীর ডানদিকে, কুড়িতলা উঁচু পাহাড় থেকে ঝর্ণাধারা নামছে পাথুরে খাড়া পাহাড়ের গা বেয়ে। উপরের দুই-তৃতীয়াংশ বিপদজনক খাড়া, হীরক দ্যুতি ছাড়িয়ে নামছে স্বচ্ছ জল বিস্ফোরিত হয়ে, বল্লম ছুড়ে, আনন্দধারা নিয়ে। ইচ্ছে করলে ঝর্ণার এ শীতল পানিতে স্নান করে শরীর জুড়িয়ে নিতে পারেন। কাঁচের মত স্বচ্ছ এ জল আপনার সকল ক্লান্তি মুছে দিবে।
হ্রদের একটু সামনে এগিয়ে গেলে সেনা ক্যাম্প সঙ্গলগ্ন পাবেন শুভলং বাজার। দুপুরের খাবারটি চাইলে এখানে সেরে নিতে পারেন। হ্রদ থেকে ধরা মাছের ঝোল আর আলুভর্তা রসনা বিলাসের জন্য মন্দ নয়। এর কাছেই প্রায় ২০০০ ফুট উঁচু ‘শুভলং পাহাড়’ রয়েছে। যার চূড়ায় রয়েছে একটি টিএন্ডটি টাওয়ার। পাহাড়ে ওঠার জন্য রয়েছে চমৎকার সিঁড়ি। পাহাড়ের উপর থেকে দেখলে মনে হবে সমস্ত রাঙামাটি জেলা কাপ্তাই লেকের পানির উপর ভেসে আছে।
ঢাকা থেকে রাঙামাটি যাওয়ার জন্য সকাল ৭:০০ থেকে রাত ১১:৩০ পর্যন্ত বাস পেয়ে যাবেন। সাধারণতো নন-এসি বাসের ভাড়া ৯০০ টাকা এবং এসি বাসের ভাড়া ১২০০-১৭০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে বাস অপারেটর বেদে।
চট্টগ্রাম শহরের অক্সিজেন মোড় থেকে রাঙ্গামাটিগামী বিভিন্ন পরিবহণের লোকাল ও গেইটলক/ডাইরেক্ট বাস পাওয়া যায়। ভাড়া একটু বেশি হলেও গেইটলক বা ডাইরেক্ট বাসে উঠা উচিত। চট্টগ্রাম হতে রাঙ্গামাটি ডাইরেক্ট বাস ১৭০-২০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন।
রাঙামাটির রিজার্ভ বাজার থেকে শুভলং যাবার নৌকা সারাদিনের জন্য ভাড়া করুন। সারাদিনের জন্যে ভাড়া করলে শুভলং ঝর্ণা ছাড়াও অন্যান্য দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখতে পারবেন। এখানে সাধারণত নৌকার সাইজের উপর ভাড়া কম বেশি হয়ে থাকে। তবে মোটামুটি সাইজের একটা নৌকা ২০০০-২৫০০ টাকার মধ্যে ভাড়া করা যায়। ১০-১৫ জন যাওয়া যায় এক নৌকাতে। শুভলং ঝর্ণা পর্যন্ত যেতে দেড় থেকে দুই ঘন্টা সময় লাগে। লেকের মধ্যে দেখার মত আরো ৭-৮ টা জায়গা আছে। সময় থাকলে সবগুলো ঘুরে দেখে নিন।
শুভলং এলাকায় থাকা ও খাওয়ার জন্য কোন ভাল ব্যবস্থা নেই। তাই আপনাকে দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসতে হবে।
রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে আপনি বেশকিছু হোটেল পাবেন, যেমনঃ রিজার্ভ বাজার , দোয়েল চত্বর, রাঙামাটি মেইন বাজার (বনরূপা)। নিচে কিছু হোটেলের নাম দেওয়া হলো। হোটেল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে বা অনলাইনে বুক করতে হোটেলের নামটিতে ক্লিক করুন।
. Hotel Square Park.
. Hotel Rajmahal International.
. Hotel Green Castle.
. Needs Hill View.
কাপ্তাই লেক জুড়ে রয়েছে একাদিক আঞ্চলিক রেস্টুরেন্ট। প্রতিটি রেস্টুরেন্টে রয়েছেহরেক রকম আঞ্চলিক খাবারের আইটেম। সাধ্যের মধ্যে যেকোনো রেস্টুরেন্টে আপনার প্রতি বেলার খাবার সেরে ফেলতে পারেন। রেস্টুরেন্টে পাবেন স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী সব খাবার। ভিন্ন স্বাদের এইসব খাবারের স্বাদ নিতে ভুলবেন না।
ঝামেলাহীন ও প্রাইভেসী পূর্ণ ট্যুর প্যাকেজ খুঁজছেন রাঙামাটিতে! তাহলে আপনার অপেক্ষার প্রহর এখানেই শেষ। কারণ ভ্রমনবাজে রয়েছে রাঙামাটিতে প্রাইভেট ট্যুর প্যাকেজ। প্যাকেজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে প্যাকেজের নামটিতে ক্লিক করুন অথবা ভিজিট করুন ভ্রমনবাজ ট্যুর ফীচারে এবং বেঁচে নিন আপনার পছন্দের প্যাকেজটি।