ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
ঝরঝরি ট্রেইল | Jorjori…
02/05/2021
ধুপপানি ঝর্ণা | Dhuppani…
16/04/2021
02/05/2021
16/04/2021
02/05/2021
16/04/2021
রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচরের বুড়িঘাটে কাপ্তাই লেকের ছোট্ট এক দ্বীপে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন বাঙ্গালির অন্যতম এক বীর সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ। অথৈ নীল জল পরিবেষ্টিত সমাধি স্থলে লেখা “তুমি দুর্জয়, নির্ভীক মৃত্যুহীন এক প্রাণ” কথাগুলো যেন তাঁর গৌরবজ্বল বীরত্বের এক অনন্য প্রকাশ। মুক্তিযুদ্ধের এই যোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধিস্থলে। অথবা আপনার সন্তান বা নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সেই ইতিহাসের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চাইলেও আপনার গন্তব্যস্থল হতে পারে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধিস্থল।
১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি অংশ পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটির মহালছড়ি থানার বুড়িঘাট চিংড়ি খাল এলাকার পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ছিল। সেদিন হঠাৎ ভারি অস্ত্র বোঝাই তিনটি লঞ্চ ও দুইটি স্পীড বোট মুক্তিযোদ্ধাদের ঘিরে ফেলে। হানাদার বাহিনীর আকস্মিক আক্রমনে মুন্সি আব্দুর রউফ মেশিনগান নিয়ে একাই শত্রুদের সাথে লড়াই করে তাঁর সহযোদ্ধাদের নিরাপদে সরে যেতে সাহায্য করেন। যুদ্ধে হানাদার বাহিনির দুটো লঞ্চ ও একটি স্পীড বোট পানিতে ডুবে যায়, মারা যায় দুই প্লাটুন সৈন্য। আকস্মিক হানাদার বাহিনীর ছোড়া একটি মর্টারের আঘাতে মুন্সি আব্দুর রউফ শাহদাত বরণ করেন।
সেদিন নিজের জীবনের মাধ্যমে রক্ষা করেছিলেন প্রায় ১৫০ জন মুক্তিযোদ্ধার প্রাণ। পরবর্তীতে এলাকার স্থানীয় দয়াল চাকমা তার দেহ উদ্ধার করেন এবং কাপ্তাই লেকের এই দ্বীপে সমাহিত করেন। তখন তিনি জানতেন না তার হাতেই সমাহিত হয়েছেন আমাদের গর্ব। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে স্থানটি চিহ্নিত করা হয় এবং ২০০৬ সালে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্মান করা হয় মার্চ রাইফেল ভাস্কর্য সংবলিত স্মৃতিসৌধ।
কিভাবে যাবেন?
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি হয়ে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের সমাধিস্থলে যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে যাওয়ার ক্ষেত্রে, কমলাপুর, ফকিরাপুর, গাবতলি বা কলাবাগান হতে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিগামী বিভিন্ন বাস সার্ভিস রয়েছে। খাগড়াছড়ি পৌঁছে নানিয়ারচর হয়ে ইঞ্জিন চলিত নৌকা নিয়ে সমাধিস্থত যেতে পারবেন। আর রাঙ্গামাটি শহর থেকে গাড়ী রিজার্ভ নিয়ে জেটিঘাট এসে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় সমাধিস্থল যাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম শহরের অক্সিজেন মোড় থেকে রাঙ্গামাটি এসে একই পদ্ধতিতে সমাধিস্থলে যাওয়া যাবে। রাঙ্গামাটি থেকে নানিয়ারচরের দূরত্ব ৩৩ কিলোমিটার। নানিয়ারচরের ঘাট থেকে সমাধিস্থল যেতে সময় লাগে দেড় ঘন্টার মত সময় লাগে।
কোথায় থাকবেন?
রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে আপনি বেশকিছু হোটেল পাবেন, যেমনঃ রিজার্ভ বাজার , দোয়েল চত্বর, রাঙামাটি মেইন বাজার (বনরূপা)। নিচে কিছু হোটেলের নাম দেওয়া হলো। হোটেল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে বা অনলাইনে বুক করতে হোটেলের নামটিতে ক্লিক করুন।
. Hotel Square Park.
. Hotel Rajmahal International.
. Hotel Green Castle.
. Needs Hill View.
কোথায় খাবেন?
রাঙ্গামাটির স্পাইস রেস্তোরা, পাজন রেস্টুরেন্ট, ইরিশ রেস্টুরেন্ট ও সাবারাং রেস্টুরেন্টের খাবার বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া নানিয়ারঘাটে চা নাস্তার খুচরা দোকান রয়েছে।