ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
ঝরঝরি ট্রেইল | Jorjori…
02/05/2021
ধুপপানি ঝর্ণা | Dhuppani…
16/04/2021
02/05/2021
16/04/2021
02/05/2021
16/04/2021
কুমিল্লা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের টিপরা বাজার ও ময়নামতি সাহেব বাজারের মধ্যস্থলে প্রায় ৪.৫ একর পাহাড়ি ভূমির উপর অবস্থিত কমনওয়েলথ যুদ্ধ সমাধি যাকে ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিও (Mainamati War Cemetery) বলা হয়। ১৯৪১-১৯৪৫ সালে বার্মায় সংঘটিত যুদ্ধে যে ৪৫০০০ কমনওয়েলথ সৈনিক নিহত হন, তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে মায়ানমার(তৎকালীন বার্মা), আসাম, এবং বাংলাদেশে ৯টি রণ সমাধিক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশে দুটি কমনওয়েলথ রণ সমাধিক্ষেত্র আছে, যার অপরটি চট্টগ্রামে অবস্থিত। প্রতিবছর প্রচুর দর্শনার্থী যুদ্ধে নিহত সৈন্যদের প্রতি সম্মান জানাতে এসকল রণ সমাধিক্ষেত্রে আসেন।
১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত চলমান বিভীষিকাময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার স্মৃতিচিহ্ন এই স্থানে ৭৩৭ জন সৈন্য চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। এসব বীরের মধ্যে এর মধ্যে ব্রিটেনের ৩৫৭ জন, কানাডার ১২, অস্ট্রেলিয়ার ১২, ভারতীয় উপমহাদেশের ১৭৮, পূর্ব আফ্রিকার ৫৬, পশ্চিম আফ্রিকার ৮৬, নিউজিল্যান্ডের ৪, দক্ষিণ আফ্রিকার ১, রোডেশিয়ার ৩, পোল্যান্ডের ১ এবং বেলজিয়ামের একজনসহ রয়েছে ২৪ জাপানির (যুদ্ধবন্দি) সমাধি।
মূল ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে ফটকের দেয়ালে বাংলা ও ইংরেজিতে লিপিবদ্ধ ইতিহাসসংবলিত পিতলের ফলক। তার প্রশস্ত হাঁটার পথ, যার দুই ধারেই সবুজ ঘাসের মধ্যে সৈনিকদের সারি সারি সমাধি। প্রতিটি সমাধিকে ঘিরে রেখেছে নানা জাতের নানা রঙের ফুলের গাছ। এ গাছগুলোয় ফুল ফোটে সমাধির প্রতিটি নিহত সৈনিকের জন্য। প্রতিটি সমাধির শিয়রের প্রস্তরফলক বা এফিটাফ রয়েছে সেখানে সমাহিত সৈনিকের নাম, পদবি, রেজিমেন্ট, বয়স, মৃত্যুর তারিখ এবং ধর্মীয় প্রতীক। হাতে গোনা কয়েকটি সমাধি বাদে সব সমাধির এপিটাফে রয়েছে তাঁদের প্রিয়জনের কিছু কথা।
প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবার জন্য এটি উন্মুক্ত থাকে। এ ছাড়া ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার জন্য তিন দিন করে বন্ধ থাকে এই সমাধিস্থল।
কিভাবে যাবেন?
কুমিল্লা থেকে উত্তরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ১০ মিনিটের হাঁটার পথ। তবে চাইলে রিকশা বা অটোরিকশায়ও যাওয়া যায়। ভাড়া জনপ্রতি ১০ টাকা।
কোথায় খাবেন?
কুমিল্লায় বিভিন্ন মানের হোটেল/রেস্টুরেন্ট রয়েছে তাই নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোন রেস্টুরেন্টে ঢুকে যেতে পারেন। চেখে দেখতে পারেন মনোহরপুর কালী বাড়িস্থ মাতৃভান্ডারের আসল রসমালাইয়ের স্বাদ।