কালেক্টরেট পার্ক | Collectorate Park 08/09/2021


PC:


যশোর জেলা সদরে অবস্থিত যশোর কালেক্টরেট ভবন চত্বর শহরের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে অধিক জনপ্রিয়। কালেক্টরেট ভবনের পাশে ভৈরব নদীর তীরে গড়ে তোলা হয়েছে যশোর কালেক্টরেট পার্ক, যা আগে নিয়াজ পার্ক হিসাবে পরিচিত ছিল। বর্তমানে চারিদিকে ঘেরা কালেক্টরেট ভবনের মধ্যে বন্দী থাকা নিয়াজ পার্ক অনেক আন্দোলন সংগ্রামের পটভূমির নিরব সাক্ষী।

 

১৭৮৬ সালের ৪ঠা এপ্রিল জনাব টিলম্যান হেঙ্কেল যশোর কালেক্টরেট প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন। জনগণের মঙ্গল ও সুবিধার জন্য কালেক্টরের সম্মান বৃদ্ধি করার এই প্রসত্মাব তিনি করেছিলেন। তৎকালীন সরকারের কর্তারা বিষয়টি জানামাত্র আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং ১৭৮৬ সালে যশোরে কালেক্টরেট প্রতিষ্ঠা করেন। এটা ছিল ইসাফপুর ও সৈয়দপুরে (যা পূর্বে স্পষ্টই ভূষণা ও রাজশাহীর অংশ ছিল) ইছাতি ও বাকেরগঞ্জ জেলার (যা আগে ঢাকার অংশ ছিল) মধ্যবর্তী অঞ্চল। এছাড়াও কোলকাতা ও হুগলীর কিছু অঞ্চল এবং মুর্শিদাবাদ থেকে নেয়া কিছু অঞ্চল নিয়ে এই কালেক্টরেটের সীমানা বিস্তৃত ছিল। মহাম্মদশাহী তৎকালীন সময় বা তার আগে থেকে আলাদা কালেক্টরেট ছিল। নালদি ও ফরিদপুর যদিও যশোর জাজশীপের অধীন ছিল তবুও তারা রাজশাহী কালেক্টরেটের অংশ ছিল। যশোরে প্রতি বছর ৬ লাখ টাকার ভূমি রাজস্ব সংগৃহীত হতো।

 

বর্তমানে ফ্লাওয়ার পার্ক এখন যশোরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান। পার্কের ভেতরে তিন বিঘা আয়তনের পুকুর। সেই পুকুরে খরশুল্লা মাছ ভাসে। পুকুরের চারপাশে বাহারি সব ফুলগাছ। গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমলি্লকা, সূর্যমুখী, জিনিয়া, ব্লুস্টার, গোলাপ, কসমস ফুলের শোভা বর্ধিত। এঁকেবেঁকে ইট বিছানো পথে থেমে থেমে মিলবে টাইলসের বেঞ্চ। পার্কে বেড়াতে আসা মানুষ বেঞ্চে বসে একটু জিরিয়ে নেন অথবা দেন আড্ডা। বিশেষ সুবিধা হিসাবে এখানে রয়েছে ফ্রি ওয়াই-ফাই সুবিধা।

 

কিভাবে যাবেন?

কালেক্টরেট পার্ক যেতে চাইলে দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে যশোর জেলা শহরের চলে আসুন। তারপর আপনার অবস্থানের উপর রিকশা নিয়ে কিংবা পায়ে হেঁটে চলে যান কালেক্টরেট পার্কে।

 

ঢাকা থেকে বাসে যশোর : রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক, রেল এবং আকাশপথে যশোর যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ঢাকার কল্যাণপুর, গাবতলী এবং কলাবাগান থেকে সোহাগ, গ্রিন লাইন, শ্যামলী এবং ঈগল পরিবহণের বেশকিছু এসি ও নন-এসি বাস যশোরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। মানভেদে যশোরগামী নন-এসি বাসে ভাড়া ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা এবং এসি বাসের ভাড়া ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা।

 

ঢাকা থেকে ট্রেনে যশোর : ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশান থেকে শনিবার বাদে সপ্তাহের ৬ দিন সকাল ৬ টা ২০ মিনিটে আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন যশোর অভিমুখে যাত্রা করে। চিত্রা এক্সপ্রেস নামক আর একটি আন্তঃনগর ট্রেন সোমবার ব্যতীত সপ্তাহের ৬ দিন সন্ধ্যা ৭ টার সময় যশোরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এসব ট্রেনে শ্রেণিভেদে টিকেটের মূল্য ৩৫০ থেকে ১২৬০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

 

এছাড়া ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ডোমেস্টিক টার্মিনাল থেকে রিজেন্ট এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স ও নভো এয়ারের বিমান যশোরের উদ্দেশ্যে নিয়মিত চলাচল করে।

 

কোথায় খাবেন?

যশোরের বিখ্যাত জামতলার মিষ্টি, খেজুরের গুড়ের প্যারা সন্দেশ ও ভিজা পিঠা অবশ্যই খেয়ে দেখুন। এছাড়া চার খাম্বার মোড়ের ‘জনি কাবাব’ থেকে কাবাব, ফ্রাই, চাপ বা লুচি খেতে পারেন। সময় সুযোগ থাকলে ধর্মতলার মালাই চা এবং চুক নগরের বিখ্যাত চুই ঝাল খাবারের স্বাদ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করার কোন মানে নেই!

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?