হনুমান পল্লী | Hanuman Palli 08/09/2021


PC:


বৃট্রিশ আমল থেকে যশোরের কেশবপুর উপজেলাটি হনুমান পল্লী হিসেবে পরিচিত। দেশের কোথাও এদেরকে দেখা না গেলেও কেশবপুর শহর ও শহরতলীতে প্রায় চার শতাধিক কালো মুখ হনুমানের বসবাস রয়েছে। তবে পর্যাপ্ত খাবার ও অভয়ারণ্যের অভাবে শ্রীরামচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুচর এককালের গ্রেট মাঙ্কি বলে খ্যাত হনুমান কালের আবর্তে বিলুপ্তের পথে। কেশবপুরের পশু হাসপাতাল, বক্ষকাটি, রামচন্দ্রপুর, বালিয়াডাঙ্গা, মধ্যকূল ও ভোগতী গ্রামে এদের বেশি বিচরণ। পৃথিবীর একমাত্র বাংলাদেশের কেশবপুরে ও ভারতের নদীয়া জেলাতে এ কালো মুখ ভবঘুরে হনুমানের বসবাস।

 

নৃ-তত্ত্ববিদদের মতে প্রায় ৪ কোটি বছর আগে কালোমুখী হনুমান প্রজাতির জন্ম হলেও নানা ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করে অল্পসংখ্যক হনুমান পৃথিবীতে টিকে আছে। বর্তমানে কেবল বাংলাদেশের কেশবপুর এবং ভারতের নদীয়া জেলায় আচরণ এবং বুদ্ধিমত্তায় উন্নত কালোমুখ ভবঘুরে হনুমানের এই প্রজাতিটি দেখতে পাওয়া যায়। ২০ থেকে ৩০ বছর আগেও পাঁচ হাজারের অধিক হনুমান কেশবপুরে জুড়ে দাপিয়ে বেড়াতো। কিন্তু এখন মাত্র চারশত হনুমান জীবিত আছে।

 

বেশ কিছু হনুমান তাদের বসবাসের পরিবেশের রুপান্তরের কারণে দেশান্তরী হচ্ছে। এছাড়া বৃক্ষের অভাব ও পরিবেশগত কারণে হনুমানগুলো খাবার এবং আশ্রয়ের অভাবে কমতে শুরু করছে। এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে অচিরেই শুধু মাত্র নামসর্বস্ব হয়ে যাবে কেশবপুরের হনুমান গ্রাম। অথচ নিকট অতীতেও এই হনুমানগুলো বাংলাদেশের জীববৈচিত্রের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতো।

 

কিভাবে যাবেন?

যশোর জেলা থেকে কেশবপুর উপজেলা সদরের দূরত্ব প্রায় ৩২ কিলোমিটার। স্থানীয় যেকোন পরিবহণ অথবা বাসে চড়ে যশোর থেকে কেশবপুর যেতে পারবেন।

 

কোথায় খাবেন?

যশোরের বিখ্যাত জামতলার মিষ্টি, খেজুরের গুড়ের প্যারা সন্দেশ ও ভিজা পিঠা অবশ্যই খেয়ে দেখুন। এছাড়া চার খাম্বার মোড়ের ‘জনি কাবাব’ থেকে কাবাব, ফ্রাই, চাপ বা লুচি খেতে পারেন। সময় সুযোগ থাকলে ধর্মতলার মালাই চা এবং চুক নগরের বিখ্যাত চুই ঝাল খাবার টেস্ট করতে পারেন।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?