ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
PC : Hussain
প্রকৃতির কন্যা হিসাবে পরিচিত জাফলং, সিলেট জেলার দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে একটি। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রতিবেশী দেশ ভারতের মেঘালয়ের সীমানা প্রকৃতির লৌকিক সজ্জায় সজ্জিত। সিলেট থেকে জাফলংয়ের দূরত্ব মাত্র ৩২ কিলোমিটার। পাইন নদীর স্বচ্ছ জলের ধারা, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রিজ, উঁচু পর্বতের সাদা মেঘ জাফলংকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। প্রতি মৌসুমে জাফলং প্রকৃতির সৌন্দর্যের বিভিন্ন রূপ প্রকাশ করে যা পর্যটকদের সারা বছর ভ্রমণে আগ্রহী করে তোলে।
ইতিহাসবিদদের মতে, বহুবছর ধরে জাফলং ছিল খাসিয়া-জৈন্তা রাজার অধীনে থাকা এক নির্জন বিস্তীর্ণ বনভূমি। ১৯৫৪ খ্রিটাব্দে যখন জমিধারী প্রথার বিলুপ্তি সাধন হয় তখন খাসিয়া-জৈন্তা রাজ্যের অবসান ঘটলেও বেশ কয়েক বছর জাফলংয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা পতিত পড়েছিল। পরবর্তীতে পাথরের সন্ধানে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জাফলং আসতে শুরু করেন। আর তখন পাথর ব্যবসার প্রসার ঘটার ফলে এখানে গড়ে ওঠে নতুন জনবসতি।
বাংলাদেশে চার ধরণের কঠিন শিলা পাওয়া যায়, তন্মধ্যে ভোলাগঞ্জ-জাফলং-এ পাওয়া যায় কঠিন শিলার নুড়ি। এছাড়া বর্ষাকালে ভারতীয় সীমান্তবর্তী শিলং মালভূমির পাহাড়গুলোতে প্রবল বৃষ্টিপাত হলে ঐসব পাহাড় থেকে ডাওকি নদীর প্রবল স্রোত বয়ে আনে বড় বড় গণ্ডশিলাও। একারণে সিলেট এলাকার জাফলং-এর নদীতে প্রচুর পরিমাণে পাথর পাওয়া যায়। এছাড়াও সাদামাটি বা চীনামাটিও পাওয়া যায়। এই এলাকায় যেমন সাধারণ বাঙালিরা বসবাস করেন, তেমনি বাস করেন উপজাতিরাও। জাফলং-এর বল্লা, সংগ্রামপুঞ্জি, নকশিয়াপুঞ্জি, লামাপুঞ্জি ও প্রতাপপুর জুড়ে রয়েছে ৫টি খাসিয়াপুঞ্জী। আর এই এলাকার মানুষের এক বৃহৎ অংশের জীবিকা গড়ে উঠেছে এই পাথর উত্তোলন ও তা প্রক্রিয়াজাতকরণকে ঘিরে।
কোথায় খাবেন?
জাফলংয়ে অবস্থিত রেস্টুরেন্টের মধ্যে জাফলং ভিউ রেস্টুরেন্ট, সীমান্ত ভিউ রেস্টুরেন্ট এবং জাফলং পর্যটক রেস্টুরেন্ট উল্লেখযোগ্য। সিলেট শহরে খেতে চাইলে জিন্দাবাজার এলাকায় অবস্থিত পানসী, পাঁচ ভাই কিংবা পালকি রেস্টুরেন্টের সুলভ মূল্যে পছন্দমত খাবার খেতে পারবেন। এই রেস্টুরেন্টগুলো অনেক রকম ভর্তা, খিচুড়ি এবং মাংসের পদের জন্য সবার কাছে সমাদৃত। সকালের নাস্তা করতে পারবেন জনপ্রতি ৫০-১০০ টাকায় এবং দুপুর বা রাতের খাবার খেতে খরচ হবে ১৫০-৩০০ টাকা।