বারদুয়ারী মসজিদ | Baro Duari Masjid 19/01/2022


PC:


বারদুয়ারী মসজিদটি (Baro Duari Masjid) শেরপুরের ঐতিহাসিক একটি নিদর্শন। ধারণা করা হয়, ভারতীয় উপমহাদেশ যখন ইংরেজদের শাসনের অধীনে ছিলো, তার আগে বারদুয়ারী মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ইংরেজদের শাসনামলে এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মসজিদটি মাটির নিচে চাপা পরে যায় এবং স্থানটি জঙ্গলে রূপান্তরিত হয়। তবে এটি র্বতমানে পুন: নির্মান করা হয়েছে। আসল মসজিদটি ভূ গর্ভেই রয়ে গেছে। তার উপরেই স্থাপিত হয়েছে বর্তমান মসজিদটি।

 

জনশ্রুতিতে আছে, আনুমানিক ৭-৮ শত বৎসর র্পূবে জরিপ শাহ নামক এক মুসলমি শাসক কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল এই মসজদিট। শ্রীবরদী উপজেলা থেকে দক্ষিণপূর্ব দিকে ১২ কি: মি দূরে বারদুয়ারী মসজিদ অবস্থিত। মসজিদটিতে ১২ টি দরজা, ৩টি জানালা ও ৩টি গম্বুজ রয়েছে। মসজিদটির পূর্বপার্শ্বে ৯টি দরজা এবং উত্তর পার্শ্বে ২টি দরজা ও ১টি জানালা আছে। কথিত আছে, মসজিদটি বর্তমানে যে অবস্থানে আছে মোগল আমলে উক্ত স্থানে মসজিদটি সেনা ক্যাম্পের মসজিদ ছিল। কালের বিবর্তনে ভূমিকম্পে মসজিদটি ধসে যায় এবং মাটির নিচে তলিয়ে যায়। মসজিদের উপর গড়ে উঠে মাটির স্তুপ আর মাটির স্তুপের টিলার উপর বিভিন্ন প্রকার গাছও গজায়।

 

সেই পুরাতন মসজিদের ইটগুলো চারকোণাওয়ালা গোলাপফুল মার্কা ছিল। মসজিদটির ইটের ধরণ কৌশলে খান বাড়ী মসজিদটির ইটের সাথে যথষ্ঠে মিল লক্ষ্য করা যায়। স্থানীয় লোকজন সেই ইটগুলো সংরক্ষণ করলেও ১৯৬৩ সালে প্রত্নতাত্বিক বিভাগ ইটগুলো নিয়ে যায়। প্রাচীন রীতির সাথে আধুনিক রীতির সংমশ্রিণে মসজিদটি নির্মিত হয়ছে যা সহজইে দর্শকদের মন জয় করে। অপরূপ সুন্দর মসজদিটি আসলে ১২টি দরজা থাকায় এর নাম করণ করা হয় বারদুয়ারী মসজদি। অর্পূব কারুকাজ সম্বলিত মেহরাব ও কার্নিশগুলো সকলের দৃষ্টি কাড়ে। বর্তমানে বিশেষ করে শুক্রবারে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিরনী, টাকা-পয়সা মানত করে অনেক লোকজন মসজিদে আসেন।

 

কিভাবে যাবেন?

শ্রীবরদী উপজেলা সদর থেকে গড়জরিপা বারো দুয়ারী মসজিদের দুরত্ব ১০ কিলোমিটার। সড়ক পথে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে সেখোনে যাওয়া যাবে। শ্রীবরদী থেকে সরাসরি কোন গাড়ী চলে না। স্কিএনজি অটোরিক্সা বা ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা রিজার্ভ নিতে হবে। এছাড়া কুরুয়া বাজার থেকে অটোরিক্সা পাওয়া যায়।

 

কোথায় থাকবেন?

শেরপুরে সাধারণ এবং মধ্যম মানের কিছু গেষ্ট হাউজ ও আবাসিক হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলে ৩০০ থেকে ৮০০ টাকায় রাত্রিযাপন করতে পারবেন। আবাসিক হোটেলের মধ্যে সম্পদ, কাকলী, বর্ণালী গেষ্ট হাউজ, ভবানী প্লাজা অন্যতম। এছাড়া শেরপুরে সড়ক ও জনপথ, সার্কিট হাউজ, এলজিইডি, এটিআই এবং পল্লী বিদ্যুৎতের পৃথক পৃথক রেষ্ট হাউজ রয়েছে।

 

কোথায় খাবেন?

শেরপুর শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় হোটেল শাহজাহান, হোটেল আহার এবং হোটেল প্রিন্সে খাবার খেতে পারেন।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?