ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
বৃহত্তর ময়মনসিংহের শেরপুর জেলা শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের নালিতাবাড়ী উপজেলাধীন এবং ময়মনসিংহ বন বিভাগ নিয়ন্ত্রিত মধুটিলা রেঞ্জের সমেশচূড়া বিটের প্রায় একশ হেক্টর পাহাড়ি বনভূমি নিয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে মধুটিলা ইকোপার্ক (Madhutila Eco Park) গঠিত। পার্কের আয়তন ৩৮৩ একর এবং ১৯৯৯ সালে এই বনকে পরিবেশ-উদ্যান বা ইকোপার্ক ঘোষণা দেয়া হয়।
পার্কের গেট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতেই নজরে পড়বে উঁচু গাছের সারি। রাস্তা থেকে ডান পাশে খোলা প্রান্তর আর দুই পাশে রকমারি পণ্যের দোকান। রেস্তোরাঁ পেরোলে পাহাড়ি ঢালুর আঁকাবাঁকা রাস্তা। পাহাড়ের প্রবেশপথেই অভ্যর্থনা জানাবে ধূসর রঙের বিশাল আকৃতির শুঁড় উঁচানো পাথরের তৈরি দুটি হাতি। এরপর যত এগোনো যাবে, ততই মন ভরে যাবে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে। পথে বুনো গাছপালার ফাঁকে ফুটে আছে হরেক রকমের বুনোফুল, তাতে বাহারি প্রজাপতির ওড়াউড়ি। এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাওয়ার পথে ঝোপঝাড়ে দেখা মিলবে হরিণ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, বানর, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, হ্রদের ধারে কুমির, ব্যাঙ আর মৎস্যকন্যার অতি চমৎকার সব ভাস্কর্য। আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু পথে ঘন ঘন গাছের সারি গভীর অরণ্যের দিকে চলে গেছে। এখানে উঁচু পাহাড়ের গাছের ছায়ায় বসে কাটানো যাবে দুপুর ও বিকেল।
মধুটিলা ইকোপার্কে শোভাবর্ধনকারী ও বিরল প্রজাতির বৃক্ষের বনায়নের পাশাপাশি আছে বিশ একরের ঔষধি বৃক্ষের বনায়ন। এছাড়া রয়েছে রেস্ট হাউজ, বাসগৃহ, বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর ভাস্কর্য বা প্রতিকৃতি, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, আকর্ষণীয় রাইড, স্টার ব্রিজ, ক্যান্টিন, মিনি চিড়িয়াখানা, কার পার্কিং এবং বসার স্থান। মধুটিলার লেকে ঘুরে বেড়ানো জন্য ৫ টি দেশীয় নৌকা ও ৩টি প্যাডেল বোট রয়েছে। সবুজের সমারোহ আর পাহাড়ের হাতছানিতে প্রতি বছর সারাদেশ থেকে সৌন্দর্য্য প্রিয় মানুষ মধুটিলায় বেড়াতে আসেন।
খরচঃ
মধুটিলা ইকোপার্কে প্রবেশ টিকেটের মূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা। ওয়াচ টাওয়ারে উঠার ফি জনপ্রতি ১০ টাকা। বিভিন্ন রাইডের টিকেট মূল্য ২০-৪০ টাকা।
কিভাবে যাবেন?
শেরপুর থেকে সিএনজি অথবা পিকআপ ভ্যানে সরাসরি মধুটিলা ইকোপার্কে চলে আসতে পারবেন। আবার শেরপুর শাপলা চত্বর থেকে নন্নী বাজার সিএনজি যোগে মধুটিলা ইকোপার্ক যাওয়া যায়। কেউ চাইলে এখান থেকে রিজার্ভ নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন গজনী-মধুটিলা। শেরপুর থেকে মধুটিলা ইকোপার্কের দূরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার।
কোথায় থাকবেন?
সাধারণত ঢাকা থেকে দিনে এসে দিনেই মধুটিলা ইকোপার্ক দেখে ফিরে যেতে পারবেন। শেরপুর জেলায় ১৫০ থেকে ৫০০ টাকায় সাধারণ মানের গেষ্ট হাউজের পাশাপাশি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় হোটেল সম্পদ, কাকলী, বর্ণালী গেষ্ট হাউজ, ভবানী প্লাজা নামের বেশকিছু মাঝারি মানের হোটেল রয়েছে। শেরপুরে সড়ক ও জনপথ, সার্কিট হাউজ, এলজিইডি, এটিআই এবং পল্লী বিদ্যুৎ এর পৃথক পৃথক রেষ্ট হাউজ রয়েছে।
মধুটিলায় দিনে বেলা ব্যবহারের জন্য ভ্রমণকারীদের জন্য রয়েছে মহুয়া রেস্টহাউস। তবে এখানে রাত্রিযাপন করা যায় না এবং রেস্টহাউস ব্যবহার করতে চাইলে শেরপুর ডিসি অফিস থেকে অনুমতি নিতে হয়।
কোথায় খাবেন?
খাবার খেতে শেরপুর চলে আসা সবচেয়ে ভাল হবে। শেরপুর শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় হোটেল শাহজাহান, হোটেল আহার এবং হোটেল প্রিন্সে যেতে পারেন।