মির্জাপুর শাহী মসজিদ | Mirzapur Shahi Masjid 22/01/2022


PC:


আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে প্রত্নতাত্ত্বিক মির্জাপুর শাহী মসজিদটি (Mirzapur Shahi Masjid) অবস্থিত। ধারণা করা হয়, ১৬৭৯ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত ঢাকা হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত মসজিদের সাথে মির্জাপুর শাহী মসজিদের নির্মাণ শৈলীর সাদৃশ্য রয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে অনেকেই মনে করেন যে ঢাকা হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে অবস্থিত মসজিদের সমসাময়িক কালে এ মির্জাপুর শাহী মসজিদের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।

 

মসজিদের শিলালিপি ঘেঁটে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ধারণা করেন, মির্জাপুর শাহী মসজিদটি ১৬৫৬ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে মসজিদটি কে নির্মাণ করেছেন এটি নিয়ে ঐতিহাসিক মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, মালিক উদ্দিন নামে মির্জাপুর গ্রামেরই এক ব্যক্তি মসজিদটি নির্মাণ করেন। এই মালিক উদ্দিন মির্জাপুর গ্রামও প্রতিষ্ঠা করেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, দোস্ত মোহাম্মদ নামে জনৈক ব্যক্তি মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। তবে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ধারণা করেন, মুঘল শাসক শাহ সুজার শাসনামলে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিলো।

 

মুঘল আমলে নির্মিত আয়তাকার মসজিদটি দৈর্ঘ্যে ৪০ ফুট এবং প্রস্থে ২৪ ফুট। এক সারিতে গম্বুজ আছে তিনটি, প্রবেশপথও তিনটি। প্রত্যেক দেয়াল ও দরজায় বিভিন্ন কারুকার্যময় নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নকশায় স্থান পেয়েছে টেরাকোটা প্লাক, ফুল ও লতাপাতার প্রতিরুপ। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মসজিদটির দেখভাল করে। মসজিদের নির্মাণ শৈলীর নিপুনতা ও দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য এখনও দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে।

 

কিভাবে যাবেন?

আটোয়ারী থেকে মির্জাপুরের দূরত্ব মাত্র ৬ কিলোমিটার। আটোয়ারী থেকে বাসে করে মির্জাপুর পৌছে রিক্সা কিংবা ভ্যানে এক কিলোমিটার পথ পেরুলেই দেখতে পাবেন ঐতিহ্যবাহী মির্জাপুর শাহী মসজিদ।

 

কোথায় থাকবেন?

রাত্রি যাপনের জন্য পঞ্চগড়ে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল পাবেন। এই সব হোটেলের ধরন অনুযায়ী ২০০ থেকে ১০০০ টাকা ভাড়ায় থাকতে পারবেন।

 

কোথায় খাবেন?

পঞ্চগড় শহরে খাবার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল পাবেন তবে মৌচাক হোটেলের খাবার খেয়ে দেখতে পারেন।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?