ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
প্রতিটি দেশ তার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি জাদুঘরের মাধ্যমে মানুষের সামনে তুলে ধরে। তেমনি বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই জাদুঘর রয়েছে। সেই সকল জাদুঘরে বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রমান সহ নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের সকল জাদুঘরের মধ্যে অন্যতম একটি হল পঞ্চগড় জেলার রকস জাদুঘর (Rocks Museum)। ১৯৯৭ সালে সম্পূর্ন ব্যক্তিগত উদ্যোগে অধ্যক্ষ নাজমুল হক এই পাথরের জাদুঘর গড়ে তোলেন যা পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে স্থাপন করা হয়েছে। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে সরকার রকস মিউজিয়াম এর জন্য একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে।
এই জাদুঘরে পঞ্চগড় জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক ও লোকজ সংগ্রহ রয়েছে প্রায় ১,০০০ এর সংখ্যায়ও বেশি। রকস মিউজিয়াম এর অভ্যন্তরীণ ও উন্মুক্ত দুই রকমের গ্যালারি রয়েছে। অভ্যন্তরীণ গ্যালারিতে রয়েছে – বিভিন্ন আকৃতি, রং ও বৈশিষ্ট্যের আগ্নেয়শীলা, পাললিক শীলা ও নুড়ি পাথর, সিলিকা নুড়ি ও সিলিকা বালি, হলুদ ও গাঢ় হলুদ বালি, খনিজবালি, সাদা মাটি, তরঙ্গায়িত চ্যাপ্টা পাথর, লাইমস্টোন, পলি ও কুমোর মাটি এবং কঠিন শিলা। উন্মুক্তভাবে এখানে বেশ কিছু বড় বড় পাথর এবং একটি শাল গাছ দিয়ে তৈরি ২২ ফুট দৈর্ঘ্যের ৩০০ বছর পুরনো দুইটি নৌকাও রয়েছে।
এ গ্যালারিতে একটি জাতিতাত্ত্বিক সংগ্রহশালাও স্থাপন করা হয়েছে। এখানে রয়েছে এ অঞ্চলের আদিবাসীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র। আছে তিনশ’ থেকে দুই হাজার বছরের পুরনো ইমারতের ইট-পাথরের মূর্তি এবং পোড়ামাটির নকশা। এছাড়াও রয়েছে এ অঞ্চলের আদিবাসীদের ব্যবহৃত কাচিয়া, কাত্তি, ফুতি, খরম, টপুনি, তাড়ি, ঘোট, কিয়া, সিঁদুর দানি। রয়েছে কালনাগ, মনসার পিতলের মূর্তি, বিষহরির মূর্তি, বিষ্ণু-গণেশের মূর্তি, ধাতবপাত্র, প্রদীপ, পঞ্চপ্রদীপ, কুঠি (কাঁশ দিয়ে তৈরি), টার শিকিয়া, অশ্মীভূত পিঁপড়ার বাসা, হুলির গানে ব্যবহৃত ঢোল, হিন্দু আদিবাসীদের ব্যবহৃত বিয়ের ডালা, প্রবাল পাথর, একতারা, পাথরের সেতুতে ব্যবহৃত আয়ুধ, সাকামচুকি (সাঁওতালদের ব্যবহৃত বিড়ি বিশেষ), তীর-ধনুক, মোঘল সৈনিকদের ব্যবহৃত তরবারি, পাথরের বাটি, জীবজন্তু ও ফুলের নকশা উৎকীর্ণ বাঁশের বেড়া, রাজমহল পাহারের কালো পাথর, বিভিন্ন প্রাচীন মুদ্রাসহ দুর্লভ সব সংগ্রহ।
হাজার বছরের পুরনো চুক্তিনামা, মোগল সাম্রাজ্য ও ব্রিটিশ শাসনামলের রোপ্য ও তামার মুদ্রা এখানে সংরক্ষিত আছে। পাথরের ওপরে লেখা চীন-নেপালি লিপির মুদ্রণ দেখা যায় এখানে। বার রকমের রঙিন বালু এই মিউজিয়ামকে করেছে সমৃদ্ধ। নানা নদীর তলদেশ থেকে কুড়িয়ে আনা হয়েছে বালু আর মাটি যা কৌতূহলী দর্শকের জ্ঞানের পিপাসা মেটাতে সহায়তা করে। সারা বছরেই দর্শনার্থীরা আসেন এখানে।
কিভাবে যাবেন?
পঞ্চগড় পৌঁছে শহরের যে কোন স্থান থেকে রিক্সা কিংবা অটোযোগে পঞ্চগড় মহিলা কলেজে অবস্থিত রকস মিউজিয়ামে যাওয়া যাবে।
কোথায় থাকবেন?
রাত্রি যাপনের জন্য পঞ্চগড়ে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল পাবেন। এই সব হোটেলের ধরন অনুযায়ী ২০০ থেকে ১০০০ টাকা ভাড়ায় থাকতে পারবেন।
কোথায় খাবেন?
পঞ্চগড় শহরে খাবার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল পাবেন তবে মৌচাক হোটেলের খাবার খেয়ে দেখতে পারেন।