ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
চা বাগানের কথা আসলেই সর্ব প্রথমেই আমাদের চোখে ভেসে উঠে সিলেটের শ্রীমঙ্গলের ছবি কিন্তু দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের সমতল ভূমিতেও যে বাণিজ্যিক ভাবে চা চাষ সম্ভব তা এখানে না আসলে বিশ্বাস করা কঠিন। পঞ্চগড়ের অধিকাংশ চা বাগান (Tea Garden) এই তেঁতুলিয়াতেই অবস্থিত। এখানকার চা বাগানের মধ্যে কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট, ডাহুক টি এস্টেট, স্যালিলেন টি এস্টেট, তেঁতুলিয়া টি কোম্পানী প্রভৃতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশে চা চাষ শুরু হয়েছিল ১৮৪০ সালে চট্টগ্রামের ক্লাব প্রাঙ্গণে। সিলেটে উৎপাদন শুরু হয় ১৮৫৪ সালে। আর পঞ্চগড়ে ১৯৯৮-তে, প্রায় ১৫০ বছর পর শিল্পপতি কাজী শাহেদ আহমদ পঞ্চগড় অঞ্চলের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে ভারতের চা বাগান দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তেঁতুলিয়ায় কিছু জমি কিনে অর্গানিক পদ্ধতিতে চা চাষ শুরু করেন। পঞ্চগড় জেলা পরিষদের তথ্যমতে, বর্তমানে পঞ্চগড়ে দুই শতাধিক বাগানে ২২৫৫ দশমিক ৫৪ একর জমিতে চা চাষ হচ্ছে। ২০০৯ সালে পঞ্চগড় থেকে উৎপাদিত হয়েছে ৬,৫৬,০২৪ কেজি মেড টি।
সমতল ভূমিতে সুন্দর পাকা রাস্তা। যতই এগুবেন সবুজ আপনাকে ক্রমেই মোহিত করতে থাকবে। সীমান্তের কাঁটাতারও যেন ঢাকা পড়েছে সবুজে। রাস্তার দুই পাশে যেন সবুজ মখমলের চাদর বিছানো। মুহূর্তেই যাবেন সবুজের সমারোহে। এখানকার চা বাগান কিন্তু সিলেট বা চট্টগ্রামের মতো উঁচু-নিচু নয় বরং একেবারেই সমতল, দেখতেও অন্য রকম। পাবেন বাগানের ধার ঘেঁষে অসংখ্য জারুল গাছে বেগুনি ফুল ফুটে থাকার নয়নাভিরাম দৃশ্য! সন্ধ্যার পরে এসব চা বাগানের নেমে আসে ভিন্ন এক স্বগীর্য় সৌন্দর্য। সন্ধ্যার পরে যখন চাঁদ আসে তখন মনে হবে আপনি যেন ভেসে বেড়াচ্ছেন নীল পরীর দেশে। চা পাতায় চাঁদের আলো পড়ে সৃষ্টি হয় মায়াবী রূপ। জোনাকিরা বাগান সাজায় আপন মনে। মনে হবে এ যেন মর্তের বাহিরে অন্য কোন জায়গা, ভিন্ন কোন জগত। সত্যিই যেন রূপকথার দেশ।
কিভাবে যাবেন?
তেঁতুলিয়া বাস স্টপ থেকে রিকশাযোগে জেলা পরিষদ ডাকবাংলো যেতে পারবেন। তেঁতুলিয়া বাস স্টপ হতে লোকাল পরিবহণে কমলা ও চা বাগান দেখতে যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন?
তেঁতুলিয়ায় তেমন ভাল কোন আবাসিক হোটেল নেই। থাকতে চাইলে জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ডাকবাংলো কিংবা তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্নারে রাত্রিযাপন করতে হবে। বাংলোতে রাতে থাকতে গেলে আবার অফিস চলাকালীন সময়ে পঞ্চগড় জেলা পরিষদ সচিব অথবা তেতুলিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করে অগ্রিম বুকিং দিতে হয়। এমন জটিলতার জন্য পর্যটকেরা পঞ্চগড় জেলা শহরের আবাসিক হোটেলগুলোতেই রাত্রিযাপনের উদ্দেশ্যে ফিরে যায়। পঞ্চগড়ে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেলের ধরন অনুযায়ী ২০০ থেকে ১০০০ টাকা ভাড়ায় থাকতে পারবেন।
কোথায় খাবেন?
পঞ্চগড় শহরে খাবার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল পাবেন তবে মৌচাক হোটেলের খাবার খেয়ে দেখতে পারেন।