ময়না দ্বীপ | Moyna Deep 19/01/2022


PC:


ময়মনসিংহ শহরের অতি নিকটেই জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরত্বে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ মোড়ের দক্ষিণে গৌরীপুরের ভাংনামারি ইউনিয়নের অনন্তগঞ্জ বাজার সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত ব্রহ্মপুত্রের দু’টি ধারা দু’দিকে বেশ কিছু দূর গিয়ে আবার একই ধারায় মিলিত হয়েছে। এর মাঝে তৈরি হয়েছে একটি বৃহৎ ব-দ্বীপের। একদিকে স্বচ্ছ জলের খেলা এবং অন্য দিকে বাণিজ্যিক ভাবে চাষকৃত বিশাল লেবু বাগান নিয়ে ছায়া সুনিবিড় ময়না দ্বীপ (Moyna Deep) যেন সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়ে বসে আছে।

 

জানা যায়, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের কর্মী ময়না মিয়া এখানে বাস করতো। তিনি এই চরে গরু চরাতেন। নদে মাছ ধরতেন। অবসরে গাছের তলায় বসে তিনি বাঁশি বাজিয়ে সময় কাটাতেন। বাঁশির সুমধুর সুর শুনে অনেকেই ময়না মিয়ার সাথে দেখা করতে আসতো। ময়না মিয়া তাদেরকে ব্রিটিশদের তাড়ানোর নানা বুদ্ধি শিখিয়ে দিতেন। এভাবে আস্তে আস্তে লোকে মুখে এই চরের নাম হয়ে গেল ময়না চর বা ময়না দ্বীপ। আবার অনেকের মতে একসময় এই চরে প্রচুর ময়না পাখির বসবাস ছিল বলেই এমন নামকরন করা হয়েছে।

 

সবুজে ঘেরা কোলাহল মুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশে ময়না দ্বীপে চোখে পড়ে নদী কেন্দ্রিক মানুষের জীবন-যাপন, সারিবদ্ধ নৌকা, হাজার হাজার বুনো হাঁসের ঝাঁক এবং পানকৌড়ি কিংবা চিলের মতো বিভিন্ন শিকারি পাখির প্রাচূর্য রয়েছে। আবার ফেরার পথে সূর্যাস্তের চমৎকার দৃশ্য দর্শনার্থীদের বিমোহিত করবে তাতে সন্দেহ নেই। তাই শহর হতে দূরে কোথাও নিরিবিলিতে সময় কাটানোর জন্য ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসেন এই ময়না দ্বীপে। বর্তমানে এই ময়না দ্বীপটি পিকনিক স্পট হিসেবেও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

 

কিভাবে যাবেন?

ময়মনসিংহ পৌঁছে রিকশা, অটো রিকশা কিংবা সিএনজিতে চড়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ মোড়ে চলে আসুন। শেষ মোড়ে স্থানীয় যেকাউকে জিজ্ঞাসা করলে ময়না দ্বীপের সন্ধান পেয়ে যাবেন।

 

কোথায় থাকবেন?

ময়মনসিংহ শহরে থাকার জন্য হোটেল আমির ইন্টারন্যাশনাল, সিলভার ক্যাসেল, হোটেল হেরা, হোটেল লা ম্যারিয়ান, ঈশাঁ খা এবং হোটেল আসাদের মতো বিভিন্ন মানের বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে।

 

কোথায় খাবেন?

ময়না দ্বীপের আসে-পাশে খাবারের কোন দোকান নেই। যদি সারাদিনের পরিকল্পনা করে ময়না দ্বীপে ঘুরতে যান তাহলে সাথে খাবার নিয়ে যেতে হবে। জব্বারের মোড়ে সাধারণ মানের কিছু খাবারের হোটেল আছে। ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত হোটেল ধানসিঁড়ি, হোটেল সারিন্দা, হোটেল রোম থ্রি, সেভেল ইলেভেন ও প্রেস ক্যান্টিনের খাবারের বেশ সুনাম রয়েছে। এছাড়াও সুযোগ পেলে মুক্তাগাছার মণ্ডা, মালাইকারী, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দই এবং মুকুল ভাইয়ের চা খাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?