শশী লজ | Shoshi Lodge 19/01/2022


PC:


শশী লজ (Shoshi Lodge) মহারাজা শশীকান্ত আচার্য চৌধুরীর অপূর্ব সৃষ্টি যা ময়মনসিংহের রাজবাড়ী নামেও সমাধিক পরিচিত। শশী লজ এর মূল ফটক থেকে ভিতরে ঢোকার সময় সম্মুখ চত্ত্বরে মার্বেল পাথরের তৈরি গ্রীক দেবী ভেনাস যেন দু হাতে স্বাগত জানানোর জন্য দাঁড়িয়ে আছে। ৯ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই রাজবাড়ীর আদি প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী। দুই তলা বিশিস্ট এই ভবনটি তার পুত্র শশীকান্ত আচার্য চৌধুরীর নামে নামকরন করা হয় শশী লজ।

 

১৮টি বিশাল বিশাল ঘর নিয়ে শশী লজ। বারান্দা ও করিডোর নিয়ে ভবনটি ৫০,০০০ বর্গ ফুটের কম হবে না। পুরো ভবনের ফ্লোর মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মিত। ছাদে উঠার জন্য একটি কারুকাজ খচিত লোহার প্যাঁচানো সিঁড়ি আছে। পুরো ভবনে রানিং ওয়াটারের লাইন টানা আছে। ভবনের ভেতরে আধুনিক টয়লেটও আছে। ভবনটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এর অনেক কিছুই এখনও নষ্ট হয়নি। পেছনে রয়েছে পাড় বাঁধানো পুকুর। পুকুর পাড়ে হাওয়া খাওয়ার জন্য দ্বিতল ছোট্ট ভবন। সিঁড়িটা বেশ বৈশিষ্ট্য মণ্ডিত। প্রতি তলায় দুই পাশে কমোড লাগানো ২টি করে টয়লেট। এখন আর কমোড নেই কিন্তু পাইপ, পানির কলের লাইন, কমোডের লাইন এখনও আছে। পুকুরের বাঁধানো সিঁড়ির দুপাশ দিয়ে পুকুরের বেশ কিছুটা ভেতরে ২টি গোল স্তম্ভ। মার্বেল পাথরে মোড়া এ স্তম্ভ দেখে মনে হয় এককালে এখানে বসে গায়ে হাওয়া লাগানো হতো। পুকুর পাড়েই গোলাকৃতির একটি কাপড় পরিবর্তনের ঘর রয়েছে। 

 

বিখ্যাত এই ভবনটি ১৮৯৭ সালে গ্রেট ইন্ডিয়ান ভূমিকম্পের ফলে পুরা বিধ্বস্ত হয়ে যায়। একই স্থানে তার দত্তক পুত্র মহারাজা শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী ১৯০৫ সালে নতুন করে শশীলজ নির্মান শুরু করেন। ১৯১১ সালে শশী লজের সৌন্দর্যবর্ধনে তিনি সম্পন্ন করেন আরও কিছু সংস্কারকাজ। ১৯৫২ সালে শশী লজে মহিলা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে বাড়িটির মূল ভবন অধ্যক্ষের কার্যালয় এবং দপ্তর হিসেবে করা হতো। ২০১৫ সালে ৪ এপ্রিল জাদুঘর স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর শশী লজটি অধিগ্রহণ করে।

 

কীভাবে যাবেন?

ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যেতে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। মাসাকান্দা বাস স্ট্যান্ডে নেমে অটো অথবা রিকশায় চড়ে শশী লজ ঘুরে আসতে পারবেন। রিক্সা ভাড়া নিবে ৩০-৪০ টাকা।

 

কোথায় থাকবেন?

ময়মনসিংহ শহরে বিভিন্ন মানের হোটেল থেকে আপনার জন্য ভাল হোটেল বেছে নিতে পারেন। তাছাড়া ভরসা করতে পারেন ময়মনসিংহের আমির ইন্টারন্যাশনাল অথবা হোটেল মুস্তাফিজ এর উপর।

 

কোথায় খাবেন?

ময়মনসিংহ শহরে প্রেসক্লাব ক্যান্টিনের মোরগ পোলাওয়ের স্বাধ চেখে দেখতে পারেন। এছাড়া ভাল মানের খাবারের জন্য হোটেল ধানসিঁড়ি ও হোটেল সারিন্দার বেশ সুনাম রয়েছে।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?