ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
কক্সবাজারের হিমছড়িটি খুব মনোরম জায়গা। পর্যটকরা সাধারণত একটি দিনের পিকনিক, সূর্যস্নান এবং আরামদায়ক দিন উপভোগ করার জন্য এখানে আকৃষ্ট হয়। কক্সবাজার থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের কোলে হিমছড়ি অবস্থিত। হিমছড়ির ছোট বড় ঝর্ণা, পাহাড় আর ফটোগ্রাফিক সমুদ্রতট পর্যটকদের বিমোহিত করে রাখে।
হিমছড়ি যত না সুন্দর তার চাইতে সুন্দর ও রোমাঞ্চকর হল কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি সৈকতে যাওয়ার পথটি। যেন কল্পনার সৌন্দর্যকেও হার মানায়। বন্ধুদের নিয়ে আনন্দ করতে করতে খোলা ছাদের জিপের ট্রিপ যেনো চলচিত্রের কল্পনার বাস্তব রূপায়ন। ছুটে চলা খোলা জিপের উপর দাড়িয়ে দুপাশে তাকালে মনে হবে যেন স্বপ্নের দেশে ভেসে যাচ্ছেন। এটি হতে পারে আপনার জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা। এরপর বেশ উঁচু একটা ব্রীজ পার হয়ে শুরু হবে হিমছড়ির রাস্তা। রাস্তার একপাশে থাকবে উঁচু পাহাড় আরেক পাশে সাগর। নানা রকম পাখির ধ্বনি যেনো প্রকৃতিতে হারিয়ে যাওয়ার মাধ্যম। পাহাড়ে নানা রকম ঝোপ ঝাড়ের সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র সৈকত পাড়ে দেখা যায় সুদূর ঝাউ গাছের সারি। মাঝে মাঝে নারিকেল গাছের এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা সৌন্দর্যের ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করে। জায়গায় জায়গায় দেখবেন পাহাড়ি ছোট ছোট ঝরনা। শুকনা মৌসুমে হয়তো সবটাতে পানি দেখবেন না। রাস্তার ওপর পাশে সাগর হওয়ায় মাঝে মাঝে দেখবেন জেলে নৌকা বালির উপর সারি করে রাখা আছে।
২৯ এপ্রিল, ১৯৯১ সালে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে হিমছড়িসহ আশে পাশে অনেক পর্যটন স্পট দারুণভাবে ক্ষতিসাধন হয়। বর্তমানে হিমছড়ি এলাকাটি অনেক সংস্কার করা হয়েছে। সিঁড়ি বেয়ে উঁচু পাহাড়ে উঠে সাগর, পাহাড় ও কক্সবাজারের নৈসর্গিক সৌর্ন্দয অতিসহজে উপভোগ করা যায়।
কিভাবে যাবেন?
কক্সবাজার এর কলাতলী মোড় থেকে সবসময় খোলা জীপ হিমছড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এতে জনপ্রতি ভাড়া লাগে ৭০ থেকে ১০০ টাকা, রিজার্ভ গেলে বেশি টাকা লাগে আলোচনা সাপেক্ষ্যে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকায় যাওয়া যায়। ইজিবাইক/অটোরিক্সয়া করে হিমছড়িতে যাওয়া আসার ভাড়া লাগবে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।
হিমছড়ি ইকোপার্ক পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশের জন্য ২০/- টাকার টিকেট কাটতে হবে।
কোথায় খাবেন?
আনায়াসেই ৩-৪ ঘন্টায় হিমছড়ি থেকে ঘুরে আসা যায় তাই চাইলে হালকা শুকনো খাবার সাথে রাখতে পারেন কিংবা পুনরায় কক্সবাজার ফিরে খেতে পারেন। কক্সবাজারে খাবার জন্য বিভিন্ন মানের রেস্তোরাঁ রয়েছে। মধ্যম মানের রেস্টুরেন্টের মধ্যে রোদেলা, ঝাউবন, ধানসিঁড়ি, পৌষি, নিরিবিলি ইত্যাদি উল্লেখ করার মত।