শহীদ হাদিস পার্ক | Shahid Hadis Park 17/01/2022


PC:


বহু আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার খুলনার ঐতিহাসিক শহীদ হাদিস পার্ক (Shahid Hadis Park)। দৃষ্টিনন্দন এই পার্কে প্রাতঃভ্রমণ ও সান্ধ্যকালীন ভ্রমণ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চলে। বিভাগীয় শহর খুলনার বাবুখান রোডে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক পার্ক, যা ১৮৮৪ সালে ‘খুলনা মিউনিসিপ্যাল পার্ক’ প্রতিষ্ঠিত হলেও পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি গণঅভ্যুত্থানে শহীদ শেখ হাদিসুর রহমান বাবুর নামে নামকরণ করা হয়। এ পার্কেই রয়েছে খুলনার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

 

১৯২৫ সালের ১৬ জুন অহিংস আন্দোলনের কান্ডারী মহাত্মা গান্ধী এই পার্কে ভাষণ প্রদান করেন এবং তাঁর সম্মানে পার্কটির নাম পরিবর্তন করে ‘গান্ধী পার্ক’ রাখা হয়। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট দেশ বিভাজনের পর মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আবারো পার্কের নাম বদলে ‘জিন্নাহ পার্ক’ রাখা হয়। ১৯৬৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি এই পার্কের কাছেই পাকিস্তানি স্বৈরশাসক বিরোধী মিছিলে পুলিশের গুলিতে শেখ হাদিসুর রহমান বাবু শহীদ হন। ২২ ফেব্রুয়ারি শহীদ হাদিসের নামাজে জানাজা শেষে উপস্থিত জনতা “শহীদ হাদিস পার্ক” নামে পার্কটির নামকরণ করেন।

 

২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের আওতায় ঐতিহাসিক এই হাদিস পার্কের উন্নয়ন করা হয়। জিওবির তহবিল থেকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে এ প্রকল্পের আওতায় পুকুরের পশ্চিম পাড়ে শহীদ মিনারসহ প্লাজা নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় পার্কের চারদিকে আরসিসি বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ, পুকুরের চারপাশে রিটাইনিং আরসিসি ওয়াল ও রেলিং এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়। পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, ভূমি উন্নয়ন, নগর ভবনের সামনের দিকে পুকুরের মধ্যে ঝর্ণা নির্মাণ করা হয়। এছাড়া চমৎকার বৈদ্যুতিক কাজ এবং প্লানটেশন ও বিউটিফিকেশন সম্পন্ন করা হয়।

 

কিভাবে যাবেন?
ঢাকার সায়দাবাদ, মহাখালী এবং গাবতলী বাস টার্মিনাল হতে বিভিন্ন মানের বাসে চড়ে খুলনা যেতে পারবেন। খুলনা শহরে এসে রিক্সা কিংবা ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা দিয়ে সহজে হাদিস পার্কে আসতে পারবেন।

 

ঢাকা থেকে সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেস নামে দুটি ট্রেন যথাক্রমে ভোর ৬ টা ২০ এবং সন্ধ্যা ৭ টায় খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। সুন্দরবন এক্সপ্রেস বুধবার এবং চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সোমবার যাত্রা বিরতিতে থাকে। ট্রেনগুলিতে চড়তে জনপ্রতি টিকেটের মূল্য শোভন চেয়ার ৫০৫ ও স্নিগ্ধা এসি ৮৪০ টাকা এবং টিকেটের মূল্যের সাথে ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য।

 

ঢাকা থেকে খুলনা এর উদ্দেশ্যে সপ্তাহে শুধুমাত্র বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটে পি এস মাহসুদ বা অস্ট্রিচ লঞ্চ ছাড়ে।

 

কোথায় থাকবেন?

খুলনা শহরে থাকার জন্য বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে টাইগার গার্ডেন, হোটেল রয়েল, ক্যাসল সালাম, ওয়েস্টার্ন ইন, হোটেল হলিডে ইন্টারন্যাশনাল এবং হোটেল মিলেনিয়াম অন্যতম।
 

কোথায় খাবেন?

খুলনা শহরে সাধারণ মানের খাবার হোটেল থেকে শুরু করে উচ্চবিত্তদের জন্যও আধুনিক মানের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। একটু খোঁজখবর করে আপনার পছন্দের যেকোন হোটেলে খাবার খেতে পারবেন।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?