কুতুব শাহ মসজিদ | Kutub Shah Mosque 13/01/2022


PC:


PC:Tejaherwal

কুতুব মসজিদ বা কুতুব শাহ মসজিদ (Kutub Shah Mosque) কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও বাংলাদেশের একটি প্রাচীন মসজিদ। মসজিদটি সুলতানী আমলে নির্মিত বলে ধারণা করা হয়। কুতুব মসজিদটি আবিষ্কারের সময় এটিতে কোন শিলালিপি পাওয়া যায়নি বলে এর সঠিক নির্মাণকাল সম্পর্কে তেমন ধারণা পাওয়া যায় না। তবে স্থাপত্য রীতি ও আন্যান্য দিক বিবেচনা করে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ধারণা করেন এটি ১৬শ শতকে সুলতানী আমলে নির্মাণ করা হয়েছে।মসজিদটির পাশেই একটি কবর রয়েছে যা কুতুব শাহ-এর বলে ধরণা করা হয়ে থাকে। তার নামানুসারে মসজিদটিকে কুতুব মসজিদ বা কুতুব শাহ মসজিদ বলে ডাকা হয়।

 

কুতুব শাহ মসজিদের চারকোনায় চারটি অষ্টভূজাকৃতির বুরুজ রয়েছে আর প্রত্যেক বুরুজের উপর মিনার রয়েছে। এছাড়া মসজিদটিতে সর্বমোট ৫ টি গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজসমূহ করবেল কৃত পেন্ডেন্টিভ দ্বারা সৃষ্ট। বহির্ভাগে উত্তর-দক্ষিণে ৪৫ ফুট লম্বা, আর পূর্ব-পশ্চিমে ২৫ ফুট চওড়া। অভ্যন্তরে প্রায় ৩৬ ফুট লম্বা, আর ১৬ ফুট চওড়া। অর্থাৎ, এর চারদিকের দেয়ালই প্রায় ৫ ফুট করে পুরু। মসজিদটির চার কোণে রয়েছে চারটি অষ্টকোণাকৃতির বুরুজ। এগুলো বলয়াকার স্ফীত রেখা দ্বারা অলঙ্কৃত।

 

পূর্ব দেয়ালে তিনটি এবং উত্তর ও দৰিণের দেয়ালে দু’টি করে কৌনাকৃতির খিলানকৃত প্রবেশপথ রয়েছে। প্রতিটি খিলানের স্প্যান্ড্রিলে গোলাকার ফুলবিশিষ্ট টেরাকোটার অলঙ্কার রয়েছে, যা এ অঞ্চলের কারিগরদের অত্যনত্ম প্রিয় মোটিফ। মসজিদের অভ্যনত্মরে পশ্চিম দেয়ালে তিনটি মেহরাব রয়েছে। এগুলো সর্পিল নকশাবিশিষ্ট টেরাকোটার অলঙ্করণ দ্বারা মনোরমভাবে সুসজ্জিত। এখানে ব্যবহৃত অর্ধচন্দ্রাকৃতির একটি টেরাকোটার নকশা এ মসজিদের একটি উলেস্নখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। এ ধরনের নকশা বাংলার কোন মসজিদে সম্ভবত প্রথম।

 

কিভাবে যাবেন?

সবচেয়ে ভালো হলো ট্রেনে যাওয়া। প্রতিদিন সকাল ৮.১০ এ এগারসিন্দুর প্রভাতি (বুধবার বন্ধ) ছাড়ে কিশোরগন্জের উদ্দ্যেশ্যে। এতে উঠে কুলিয়ারচর নেমে পরুন। এছাড়া সায়েদাবাদ থেকে তিশা এবং গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া থেকে বিআরটিসি বাসে করেও কুলিয়ারচর যাওয়া যায়।
 

কুলিয়ারচর নেমে একটা রিক্সা নিয়ে চলে যান লঞ্চঘাট। এখান থেকে প্রতিদিন সকাল ৬ টা, ৮ টা, ৯ টা, ১১ টা এমনি করে ৩ টা পর্যন্ত লঞ্চ ছেড়ে যায় অষ্টগ্রাম। ভাড়া ১০০ টাকা। সময় লাগবে সাড়ে ৩ ঘন্টা।তারপর অষ্টগ্রাম থানা বা ডাকবাংলোর কাছ থেকে ১০ টাকা অটো ভাড়ায় ঐতিহাসিক কুতুব শাহী মসজিদে যাওয়া যায়।
 

কোথায় থাকবেণ?

প্রথম ও প্রধান জায়গা হলো জেলা পরিষদ ডাক বাংলো। ভাড়া ৩০০-১৫০০ টাকা (রুম ভেদে) । কেয়ারটেকারের সাথে আগে যোগাযোগ করে বুকিং দিয়ে রাখবেন। রান্নার ব্যবস্থাও উনি করবেন। এছাড়া অষ্টগ্রাম বাজারে থাকার জন্য কিছু হোটেল আছে এসব হোটেলের মান তেমন ভালো নয় তাই থাকার জন্য পরিচিত মানুষের সাহায্য নিন।

 

কোথায় খাবেন?

খেতে পারেন হাওরের তাজা মাছ। নিজেরা রান্না করতে চাইলে সকাল সকাল স্থানীয় বাজার থেকে কিনে নিয়ে রান্না করতে পারেন। স্থানীয় হোটেলেও মাছের বিভিন্ন পদের তরকারি পাওয়া যায়। সদ্য হাওর থেকে ধরে আনা বাহারি মাছ খেতে ভুলবেন না। অষ্টগ্রামে বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা পনির পাওয়া যায় তবে এর জন্য আপনাকে এক দিন আগে স্থানীয় পনীর বিক্রেতাদের পরিমাণ জানাতে হবে। সেই সাথে অষ্টগ্রামের বিখ্যাত ৭ ইঞ্চি লম্বা মুরালির স্বাদ চেখে দেখতে পারেন।

 

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?