২০১ গম্বুজ মসজিদ | 201 Dome Mosque 27/12/2021


PC:


PC:Azim Khan Ronnie

২০১৯ সালে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আলোচিত স্থানগুলির মধ্যে একটি ছিল ২০১ গম্বুজ মসজিদ (201 Dome Mosque)। এর স্থাপত্য সৌন্দর্যের ঝড় ফেসবুক এবং ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কাপিয়েছে এক সময়। টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে অবস্থিত, যা রাজধানী ঢাকা থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে। এই মসজিদের মূল নকশা অনুসারে জানা যায়, মসজিদটিকে সুসজ্জিত করা হয়েছে মোট ২০১টি গম্বুজ ও ৯টি বিশাল মিনার দিয়ে।

 

২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ১৫ বিঘা জমির ওপর বিশাল মসজিদ ও মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই বিশাল মসজিদের কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের মা রিজিয়া খাতুন। মসজিদটি নির্মাণে ব্যয় হিসেবে ধরা হয়েছে, আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা। দ্বিতল এই মসজিদের দৈর্ঘ্য ১৪৪ ফুট এবং প্রস্থ ১৪৪। দৃষ্টিনন্দন মসজিদের ছাদে অবস্থিত মূল গম্বুজটি উচ্চতায় ৮১ ফুট এবং এই গম্বুজের চারপাশকে ঘিরে ১৭ ফুট উচ্চতার আরো ২০০টি গম্বুজ তৈরি করা হয়েছে। মসজিদের চার কোণায় ১০১ ফুট উঁচু ৪ টি মিনার মিনার রয়েছে। এছাড়াও ৮১ ফুট উচ্চতার চারটি মিনার পাশাপশি স্থাপন করা হয়েছে। আর মসজিদের পাশে মূল মিনারটি নির্মাণ করা হয়েছে, যার উচ্চতা ৪৫১ ফুট। পুরো নির্মাণ কাজ শেষ হবার পর পবিত্র কাবা শরীফের ইমাম এসে নামাযের ইমামতি করে মসজিদটির উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

 

পৃথিবীর ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এত বেশি সংখ্যক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ তৈরি হয়নি। কেবল আকারেই নয় অসাধারণ দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদটির ছাদে ৮১ ফুট উচ্চতার একটি বিশাল গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের দেয়ালের টাইলসে অংকিত রয়েছে পূর্ণ পবিত্র কোরআন শরিফ। মসজিদের প্রধান দরজা নির্মাণে ব্যবহার করা হবে ৫০ মণ পিতল। এছাড়া মসজিদ কমপ্লেক্সে রয়েছে লাশ রাখার হিমাগার, বিনা মূল্যের হাসপাতাল, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা।

 

কিভাবে যাবেন?

টাঙ্গাইল সদর থেকে দ্রুতগামী বাসে গোপালপুর যেতে পারবেন। গোপালপুর থেকে ২০-৩০ টাকা ভাড়ায় সিএনজি/ইজিবাইক/ভ্যানে যেতে পারবেন ২০১ গম্বুজ মসজিদে।

 

কোথায় থাকবেন?

ঢাকা হতে সকালে রওনা দিয়ে টাঙ্গাইল দিনে গিয়ে রাতের মধ্যে ফিরে আসা যায় তবে রাত্রিযাপন করতে টাঙ্গাইল শহরে চলে আসতে হবে। চাইলে এলেঙ্গা এবং যমুনা রিসোর্টের মত লাক্সারী ব্যবস্থা ছাড়াও বিভিন্ন মানের অসংখ্য আবাসিক হোটেলে রাত কাটাতে পারবেন।

 

কোথায় খাবেন?

মসজিদটির সামনে কিছু ছোট বড় খাবার হোটেল আছে। হালকা নাস্তা বা দুপুরের খাবার খেতে পারেন সেখানের স্থানীয় হোটেলে। এছাড়া গোপালপুর বাজারে মোটামুটি মানের খাবারের দোকান আছে। চাইলে সাথে করে খাবার নিয়ে যেতে পারেন।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?