করটিয়া জমিদার বাড়ি | Karatia Jamidar Bari 27/12/2021


PC:


PC:Iqbal Hossain

টাঙ্গাইল জেলায় যে কয়েকটি জমিদার বাড়ী রয়েছে যার মধ্যে পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি, মহেড়া জমিদার বাড়ি, নাগরপুর জমিদার বাড়ি, দেলদুয়ার জমিদার বাড়ি প্রভৃতি অন্যতম। কিন্তু এই সবগুলোকে ছাপিয়ে ইতিহাস আর ঐতিহ্যে করটিয়া জমিদার বাড়ি  আলাদা স্থান করে নিয়েছে। টাঙ্গাইল শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে পুটিয়ার নদীর তীরে অবস্থিত করটিয়া জমিদার বাড়ী। জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নী মোগল ও চৈনিক স্থাপত্য কৌশলে বাড়িটি নির্মাণ করেন।

 

অসাধারণ প্রাকৃতিক এবং নিরিবিলি পরিবেশে অবস্থিত এই জমিদার বাড়িটি প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৫০০ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট প্রাচীর ঘেরা। এখানকার স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে লোহার ঘর, রোকেয়া মহল, রাণীর পুকুরঘাট, ছোট তরফ দাউদ মহল এবং বাড়িসংলগ্ন মোগল স্থাপত্যের আদলে গড়া মসজিদ যা এক একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য। সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে অবস্থিত মোগল স্থাপত্য শিল্পের নিদর্শন রোকেয়া মহল, যা প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শনের মর্যাদা পাওয়ার দাবি রাখে অথচ বর্তমানে সেটি কলেজ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

 

করটিয়া জমিদার বাড়ির দক্ষিণে অবস্থিত এই মসজিদটি প্রায় ১৪০ বছরের পুরনো মসজিদ। ১৮৭১ সালে হাফেজ মাহমুদ আলী খান পন্নী মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। “আটিয়ার চাঁদ” নামক গ্রন্থ থেকে জানা যায় যে, আফগান অধিপতি সোলায়মান খান পন্নী কররানির ছেলে বায়েজিদ খান পন্নী ভারতে আগমন করেন। তাঁর পুত্র সাইদ খান পন্নী আটিয়ায় বসতি স্থাপন এবং ১৬০৮ খ্রিঃ সম্রাট জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে আটিয়ার বিখ্যাত মসজিদ নির্মাণ করেন। এই বংশেরই ১১তম পুরুষ সা’দত আলী খান পন্নী টাঙ্গাইলের করটিয়ায় এসে পন্নী বংশের ভিত প্রতিষ্ঠা করেন।

 

কিভাবে যাবেন?

ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে নিরালা, বিনিময়, ঝটিকা, ধলেশ্বরী ইত্যাদি বাস টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে নিয়মিতভাবে ছেড়ে যায়। এই সব বাসে চড়ে করটিয়া বাইপাসের কাছে বাস থেকে নেমে রিকশা যোগে করটিয়া জমিদার বাড়ি যেতে ২০ থেকে ২৫ টাকা ভাড়া লাগবে।

 

কোথায় থাকবেন?

টাঙ্গাইলে থাকার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ ও এলজিইডির সরকারি রেস্ট হাউজ আছে। সেগুলিতে যোগাযোগ করে থাকতে পারবেন। আর যদি হোটেলে রাত্রিযাপন করতে চান তবে টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়ের দিকে বেশ কিছু বিভিন্ন মানের হোটেলে রাতে থাকতে পারবেন।

 

কি খাবেন?

টাঙ্গাইল খাওয়ার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে শহরের নিরালা মোড়ে অবস্থিত হোটেল নিরালা বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। নিরালা মোড়ের কাছাকাছি দূরত্বে কয়েকটি খাবার হোটেল রয়েছে। এছাড়া টাঙ্গাইলের বিখ্যাত পোড়াবাড়ির চমচম খেতে ভুলে যাবেন না।

 

 

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?