ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
PC : Rocky Masum | CC BY-SA 4.0
এডভেঞ্চার প্রেমীরা যারা দেশের ভিতরেই থ্রিলিং এর স্বাদ নিতে চান তাদের জন্য আদর্শ ভ্রমণ গন্তব্য এই আলীর সুড়ঙ্গ। দুর্গম অন্ধকারাচ্ছন্ন এই গুহাকে ঘিরে রয়েছে নানা রূপকথা ও ভৌতিক কল্পকাহিনী। প্রকৃতির এক আজব রহস্যময় সৃষ্টি এই আলীর সুড়ঙ্গ পার্বত্যজেলা বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরেই মাতামুহুরী-তৈন খাল ঘেঁষেই অবস্থিত। ঝিরি থেকে দেড়শত ফিট উপরে এই গুহাকে ঘিরে প্রকৃতির অপরূপ রহস্যের শেষ নেই।
আলী-কদমের মংচপ্রুপাড়া দিয়ে স্বচ্ছ পানির তৈন খাল পেরুলেই পেয়ে যাবেন আলীর পাহাড়। এরপর কখনো ওপরে উঠতে হবে, আবার কখনো বা নিচে। মাঝে বাঁশের সেতু দিয়ে ঝিরি পার হলেই সুড়ঙ্গে যাবার পথ। দু’পাশের পাহাড়ে গা যেন শিল্পীর কারুকার্যের ক্যানভাস, তা থেকে চুইয়ে পড়ছে হিম ঠাণ্ডা পানি। পুরো পরিবেশটাই সবুজে মোড়া। অনেক উপর থেকে পাহাড় আর বৃক্ষের ফাঁক দিয়ে কখনো কখনো আসছে সূর্যের আলোকচ্ছটা। ঠিক যেন আলো-আঁধারের খেলা।
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকা দুটো উঁচু পাহাড়ের মধ্যভাগে আলীর সুড়ঙ্গে ঢুকার প্রবেশ মুখ দেখতে পাবেন। পাথর বেষ্টিত এই গুহায় কিছুদিন আগেও দড়ি বা পাহাড়ের লতা ধরে আস্তে আস্তে উঠতে হতো কিন্তু এখন পর্যটকদের সেই কষ্টটা নিরসন করতে নিচ থেকে প্রবেশ মুখ পর্যন্ত ওঠানামার জন্য সেনাবাহিনীর উদ্যোগে এখানে তিনটি সিঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে।
কিভাবে যাবেন?
আলীর গুহায় যেতে হলে আপনাকে প্রথমে বান্দরবান জেলার আলীকদম আসতে হবে। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা হয়ে আলীকদম অথবা বান্দরবান শহর থেকে থানচি-আলীকদম রোড দিয়ে আলীকদম আসতে পারবেন। তবে চকরিয়া হয়ে যাওয়াটাই সবচেয়ে সুবিধাজনক ও সময় সাশ্রয়ী।
আলীকদম থেকে প্রথমে মংচুপ্রু পাড়ায় যেতে হবে। হেঁটে বা ইজিবাইকে করে যাওয়া যাবে এই ৩ কিলোমিটারের মত পথ। এই পাড়ার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে টোয়াইন খাল। টোয়াইন খাল পার হয়ে বেশ কিছুক্ষণ পাহাড় ও ঝিরি পথে হেঁটে আলীর সুড়ঙ্গ যেতে হবে। মংচুপ্রু পাড়া থেকে প্রথম আলীর গুহার কাছে যেতে ২০-৩০ মিনিটের মত সময় লাগবে। সব গুলো গুহা দেখতে চাইলে আলীকদম থেকে যাওয়া আসা ও দেখা মিলিয়ে ৩ ঘন্টার মত সময় লাগবে।
কোথায় খাবেন?
আলীকদমের পানবাজারে বেশ কিছু দেশীয় খাবারের হোটেল আছে, আলীকদমেও আছে বেশ কিছু খাবার হোটেল। খুব আহামরি না হলেও মোটামুটি মানের খাবার পাবেন। ভাত, মুরগি, মাংস ও মাছের পদ পাবেন। খেতে খরচ হবে ১০০-১৫০ টাকা।