ঋজুক ঝর্ণা | Rijuk Waterfall 10/04/2021


PC:


 

PC: Zihan Ahmed

 

বান্দরবান শহর জেলা থেকে ৬৬ কিমি এবং সাঙ্গু নদীর তীরে থাকা রুমা বাজার থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ঋজুক ঝর্ণা। রুমা বাজার থেকে থানচি পর্যন্ত নদীর পথ ধরে যাওয়ার সময় এই যৌবন ভরা জলপ্রপাতটি দেখা যায়। একে মারমার ভাষায় "রি স্বং স্বং" ও বলা হয়। তিনশ ফুট পাহাড়ের চূড়া থেকে সারা বছর জল প্রবাহিত হওয়ায় এর রূপ স্বপ্নিল সৌন্দর্যকেও হার মানায়।

 

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা বলতে গেলে সাঙ্গু ঋজুকের চেয়ে কম নয়। বর্ষা মৌসুম ব্যতীত বছরের বাকি সময় সাঙ্গু নদীর তেমন জল থাকে না। স্ফটিক পরিষ্কার পানির নীচে বালি এবং নুড়িগুলির রাজ্য দেখতে পাওয়া যায়। ডানে পাহাড়, আর বামে বেশ কিছুটা জায়গা জুড়ে ফসলের ক্ষেত। ঋজুকের বিপরীতে মারমা লোকালয়ের একটি পর্বত রয়েছে। ঋজুকের উল্টো পাশে নতুন ঋজুক পাড়া নামে মারমাদের একটা পাড়া আছে। জলপ্রপাতটি দেখার পরে যদি আপনার অতিরিক্ত কিছু সময় থাকে তবে আদিবাসী জীবনধারা সম্পর্কে জানতে আপনি এই জায়গাগুলি ঘুরে দেখতে পারেন। আতিথেয়তা আর আন্তরিকতার দিক থেকে বম বা মারমারা অতুলনীয়।

 

কিভাবে যাবেন?

চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান যেতে পারেন। বদ্দারহাট থেকে বান্দারবানের উদ্দেশে পূবালী ও পূর্বানী পরিবহনের বাস যায়। এসব বাসে জনপ্রতি ২২০টাকা ভাড়া রাখা হয়। ঋজুক দেখতে চাইলে বান্দরবান থেকে আপনাকে রুমায় আসতে হবে। লোকবল বেশি থাকলে বান্দরবন থেকে নিজেরা গাড়ি ভাড়া করে সোজা রুমা চলে আসাই সুবিধাজনক। ঋজুক ঝরনায় যেতে রুমাবাজার এলাকার নদীর তীরে নৌকা কিংবা ইঞ্জিনচালিত নৌকা পাওয়া যায়। তবে কেউ যদি পায়ে হেঁটে যেতে চান তবে খুব সকালে উঠে রওনা দিতে হবে। রুমা বাজার থেকে নৌকা ভাড়া করে যাওয়া যায়। নৌকা ভাড়া ৫০০ টাকা।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?