নাফাখুম (Nafakhum) 12/04/2021


PC:


PC:MD RASHEDUZZAMAN

 

গভীর রাত, পাহাড়ী ঝি ঝি পোকার ডাক, পাশে ঝর্ণার শব্দ।সাথে থাকা মিনি সাউন্ডবক্সে পছন্দের গান, কিছু স্মৃতি রোমন্থন। সে সময়টায় মনে হচ্ছিলো আরো কিছুদিন বোধহয় এ সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকা উচিত। জীবনের এই সুখগুলো চিহ্নিত করতেই ঢু মেরে আসতে হবে নাফাখুমে।

 

নাফাখুম জলপ্রপাতটি জেলা বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নে অবস্থিত। জল প্রবাহের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম জলপ্রপাত হিসাবে বিবেচিত। আবার কেউ কেউ এটিকে বাংলার নায়াগ্রা বলে। নাফাখুম দেখতে হলে নৌকায় করে রেমাক্রি যেতে হবে থানচি বাজার থেকে সাঙ্গু নদীর উদ্দেশ্যে। রেমাক্রি মারমা দ্বারা বাস করে, মারমা ভাষার খুম মানে জলপ্রপাত। আপনি রেমাক্রি থেকে প্রায় তিন ঘন্টা হেঁটে গেলে আপনি প্রকৃতির অবর্ণনীয় রহস্য দেখতে পাবেন। দ্রুত গতিতে নেমে আসা পানির জলীয় বাষ্পে সূর্য্যের আলোয় প্রতিনিয়ত এখানে রংধনু খেলা করে। আপনি যদি অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় হন ও বান্দরবানে ট্রেকিং করার ইচ্ছে থাকে, কিংবা দেখতে চান বান্দরবানের গহীনের সবুজের খেলা, আদিবাসীদের জীবন চিত্র, সাঙ্গুর ভয়ংকর রূপ বা শীতের টলমলে পাথুরে জলের খেলা তবে আপনার জীবনে একবার হলেও যাওয়া উচিত অনিন্দ্য সুন্দর ঝর্ণায়।

 

সারা বছরই অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষ নাফাখুম জলপ্রপাত দেখতে ঢল নামে। তবে বর্ষায় প্রায়ই সাঙ্গু নদীর পানি প্রবাহ বিপদসীমার উপরে থাকলে প্রশাসন থেকে অনুমতি দেওয়া হয় না নাফাখুম যাওয়ার জন্যে। আবার শীতকালে নাফাখুমে পানি অনেকটাই কম থাকে। তাই সবচেয়ে আদর্শ সময় বর্ষার পর পর ও শীতকালের আগের সময়টুকু (সেপ্টেম্বর– নভেম্বর)। তবে যে সময়ই যান না কেন,  এখানের প্রকৃতি আপনার ভালো লাগবেই। নাফাখুম ভ্রমণ আপনার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজীবন।

 

কিভাবে যাবেন?

চট্টগ্রামের বদ্দারহাট বাস স্টেশন থেকে বান্দরবানে যেতে পারবেন। পূবালী ও পূর্বানী নামের দুটি বাদ বান্দারবানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ দুটি বাসে জনপ্রতি ২২০ টাকা ভাড়া লাগে। এছাড়া ধামপাড়া বাস স্টপেজ থেকে বান্দরবান যাওয়া যায়। চাইলে রেন্ট এ কারে করেও চট্রগ্রাম থেকে বান্দরবান যেতে পারবেন, মাইক্রোবাসের ভাড়া ২,৫০০-৩,৫০০ টাকা। তারপর বান্দরবান থেকে থানচি, থানচি থেকে নৌকায় সাঙ্গু নদী ধরে রেমাক্রি বাজার যেতে হবে, সেখান থেকে পায়ে হেঁটে নাফাখুম যেতে হবে।

 

কোথায় খাবেন?

থানচি বাজারে মোটামুটি মানের কিছু খাওয়ার হোটেল আছে। কোন একটায় খেয়ে নিতে পারবেন। রেমাক্রিতে আদিবাসী বাড়িতেই খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। আগে থেকে বলে রাখলেই হবে। অনেকটা প্যাকেজ সিস্টেমে খাওয়ার ব্যবস্থা। সাধারণত ভাত, ভর্তা, ভাজি ও ডিম খেতে খরচ হবে ৮০ টাকা, ডিমের বদলে মুরগি খেতে চাইলে খরচ হবে ১২০ টাকা। আগে থেকেই গাইডকে দিয়ে জানিয়ে রাখবেন কি খাবেন ও কতজন খাবেন।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?