ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
ঝরঝরি ট্রেইল | Jorjori…
02/05/2021
ধুপপানি ঝর্ণা | Dhuppani…
16/04/2021
02/05/2021
16/04/2021
02/05/2021
16/04/2021
Photo Credit :- Mehedi Hasan.
আপনি যদি নীলাচল বা নীলগিরি পাহাড়ে ভ্রমণ করতে বান্দরবান ঘুরতে যাচ্ছেন, তবে আপনাকে অবশ্যই থেমে একটি দুর্দান্ত পুরানো শিল্পকর্মের ভ্রমণ করতে হবে, নাম স্বর্ণ মন্দির। বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে বালাঘ্টা এলাকায় অবস্থিত এই স্বর্ণ মন্দিরটি মহাসুখ মন্দির বা বৌদ্ধ ধাতুজাদী নামেও সমানভাবে পরিচিত। স্বর্ণমন্দির নাম হলেও এখানে স্বর্ণ দিয়ে তৈরি কোন স্থাপনা নেই। মন্দিরে সোনালি রঙের আধিক্যের জন্য এটি স্বর্ণমন্দির হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়।
কাছাকাছি একটি জলপ্রপাতের সাথে সবুজ পাহাড়ের মাঝে সোনার নিদর্শনটির দৃশ্যটি নান্দনিক। বান্দরবানের পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত আদিবাসী বৌদ্ধদের বেশিরভাগ কারণে এই স্বর্ণ মন্দিরটি বাংলাদেশের বৃহত্তম বৌদ্ধ মন্দির। পাহাড়ের চূড়ায় তৈরী এ সুদৃশ্য প্যাগোডা বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের পবিত্র একটি তীর্থস্থান। দেশ বিদেশ থেকে অসংখ্য বৌদ্ধ ধর্মালম্বী এই স্বর্ণমন্দির দেখতে এবং প্রার্থনা করতে আসেন। গৌতমবুদ্ধের সমসাময়িক কালে নির্মিত বৌদ্ধ মুর্তির একটি এখানে স্থাপন করা হয়েছে। প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা এই প্যাগোডা দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য বৌদ্ধ স্থাপনার মধ্যে অন্যতম উপাশনালয়। পাহাড়ের উপর দেবতা পুকুর নামে একটি পানি সম্বলিত ছোট পুকুর আছে। প্যাগোডার নির্মাণশৈলী মায়ানমার, চীন ও থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ টেম্পল গুলোর অনুকরণে তৈরী। এই প্যাগোডা আধুনিক ধর্মীয় স্থাপত্যের এক উজ্জ্বল নিদর্শন। প্রতিবছর নির্দৃষ্ট সময়ে এখানে মেলা বসে।
কিভাবে যাবেন?
বান্দরবান থেকে সিএনজি অটোরিক্সা বা চান্দেরগাড়ী/জীপ ভাড়া করে স্বর্ণমন্দির যেতে পারবেন। শুধু স্বর্ণমন্দির যাওয়া আসার জন্যে ৩০০-৭০০ টাকা নিবে। তবে সাধারণত পর্যটকগন বান্দরবানের আশেপাশে আরও দর্শনীয় জায়গা যেমন নীলগিরি, নীলাচল, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত ইত্যাদি এইসব জায়গা দেখা সহ গাড়ি রিজার্ভ নেয়।