ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
ঝরঝরি ট্রেইল | Jorjori…
02/05/2021
ধুপপানি ঝর্ণা | Dhuppani…
16/04/2021
02/05/2021
16/04/2021
02/05/2021
16/04/2021
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ (Baitul Mukarram National Mosque) বলতেই আমাদের সবার মনে ফুটে উঠে এক অসাধারণ সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আমাদের জাতীয় মসজিদটির কথা। ঢাকার প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তানের খুব কাছে পল্টন এলাকায় এ মসজিদের অবস্থান। মসজিদের ইতিহাস থেকে জানা যায়, ঢাকায় অধিক মুসল্লি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি বড় মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা নেয় তৎকালীন পাকিস্তানের বাওয়ানি পরিবার। সেই সূত্র ধরে, বাওয়ানি জুট মিলসের মালিক পাকিস্তানের বিশিষ্ট শিল্পপতি লতিফ বাওয়ানি ও তাঁর ভাতিজা ইয়াহিয়া বাওয়ানি মসজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন।
২৭ জানুয়ারি ১৯৬০ সালে পল্টনের সাড়ে আট একর জমি সম্বলিত পুকুরটি ভরাট করার মধ্য দিয়ে মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়। স্থপতি টি. আব্দুল হুসেন থারিয়ানিকে পুরো মসজিদ কমপ্লেক্সটির নকশা প্রণয়নের জন্য নিযুক্ত করা হয়। যেখানে পুরো কমপ্লেক্স নকশার মধ্যে মসজিদ ছাড়াও দোকান, অফিস, লাইব্রেরি ও গাড়ি পার্কিং-এর ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মসজিদের নকশায় বৈচিত্র প্রদানের উদ্দেশ্যে গম্বুজ পরিহার করে কাবা ঘরের আদলে চারকোনা কাঠামো তৈরী করা হয়েছে। ৮ তলা বিশিষ্ট বায়তুল মোকাররম মসজিদের নিচ তলায় বিভিন্ন বিপণিবিতান ও গুদামঘর রয়েছে। মসজিদের ২য় তলা থেকে ষষ্ঠ তলা নামায আদায়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। ২য় তলা থেকে খতিব নামাজ পড়িয়ে থাকেন। ৩য় তলার উত্তর পাশে নারীদের নামায আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। বায়তুল মোকাররম মসজিদে একসাথে প্রায় ৩০ হাজার মুসল্লি নামায আদায় করতে পারেন। মসজিদে প্রবেশে জন্য উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব দিকে পৃথক পৃথক প্রবেশ পথ রয়েছে।
১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ হতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উপর বায়তুল মোকাররম মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ন্যস্ত রয়েছে। সৌদি সরকারের অর্থায়নে ২০০৮ সালে মসজিদ সম্প্রসারনের কাজ করা হয়। প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায়ের জন্য দূরদূরান্ত হতে অসংখ্য মানুষ বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসেন।
কিভাবে যাবেন?
রাজধানী ঢাকার যেকোন জায়গা হতে বাসে চড়ে পল্টন, গুলিস্তান কিংবা মতিঝিল এসে পায়ে হেঁটে বায়তুল মোকাররম মসজিদে পৌঁছাতে পারবেন।