ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
রাজধানী শহর ঢাকার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম হল তিন নেতার মাজার (The Mausoleum of Three Leaders)। এই তিন নেতার মাজার মূলত একটা স্থাপত্যিক ভাস্কর্য। বাংলাদেশের জাতীয় তিন নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, খাজা নাজিমুদ্দিন এবং এ কে ফজলুল হক-এর সমাধির উপর ১৯৬৩ সালে স্থপতি মাসুদ আহমদ ও এস এ জহিরুদ্দিনের নকশায় তিন নেতার মাজার স্থাপনাটি নির্মাণ করা হয়েছে। তিন নেতার মাজারের কাছেই রয়েছে হাইকোর্ট এবং শিশু একাডেমি।
এই তিন নেতা বাংলার স্বাধীনতায় যেমন ভূমিকা রেখেছেন তেমনি স্বাধীনতার পূর্ব- বাংলার বিংশ শতাব্দীর রাজনীতিতে তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বাংলার বাঘ খ্যাত শের-এ-বাংলা এ.কে. ফজলুল হক ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী। ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। পরবর্তীতে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া যুক্তফ্রন্ট গঠনে তাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।
ঢাকার নবাব পরিবারে জন্মগ্রহণ করা খাজা নাজিমুদ্দিন ছিলেন বাংলার অন্যতম রাজনীতিবিদ। ১৯৪৮ সালে তিনি পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল হন এবং ১৯৫১ সালে পাকিস্তানের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল নাজিমুদ্দিনকে পদচ্যুত করা হয়।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একজন বিখ্যাত বাঙ্গালী রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। ১৯২৪ সালে কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র হন এবং খাজা নাজিমুদ্দিনের মন্ত্রীসভায় তিনি শ্রমমন্ত্রী, পৌর সরবরাহ মন্ত্রী ছিলেন তিনি ছিলেন পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী । ১৯৪৮- এ পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র লীগ এবং ১৯৪৯-এ পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করেন । এ কে ফজলুল হক এবং মাওলানা ভাসানীর সাথে তিনি যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন।১৯৫৭ সালে পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
রাজধানী ঢাকার যেকোন প্রান্ত থেকে নিজস্ব গাড়িতে অথবা গণপরবহনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দোয়েল চত্বর সংলগ্ন তিন নেতার মাজারে আসতে পারবেন।