ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
PC:Khaled
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানাটি (Bangladesh National Zoo) ঢাকার মিরপুরের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত। জনজাতীয় বিনোদন, বন্যজীবন সংরক্ষণ, প্রজনন, গবেষণা এবং বন্যজীবনের উপর জ্ঞান বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ঢাকা হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে মাত্র কয়েকটি সংখ্যক বন্য প্রাণী নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানাটি যাত্রা শুরু করে। পরে ১৯৬০ সালে মিরপুরে চিড়িয়াখানা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং ১৯৭৮ সালের ২৩ শে জুন বর্তমান বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘরটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
সুনিবিড় ছাড়াঘেড়া এ ঢাকা চিড়িয়াখানার আয়তন প্রায় ৭৫ হেক্টর।যার মধ্যে ১৩ হেক্টরের দুটি লেক আছে । চিড়িয়াখানা তথ্যকেন্দ্র হতে প্রাপ্ত তথ্য হতে জানা যায়, বর্তমানে ঢাকা চিড়িয়াখানায় ১৯১ প্রজাতির ২১৫০টি প্রাণী রয়েছে। রয়েছে আধাপ্রাকৃতিক লেক, লেকের উপর বিশালকায় পেলিক্যান পাখি। তার পাশে দেখা যায় প্রাকৃতিক পরিবেশে বেঙ্গল টাইগার ও সিংহ। হরেকরকম পাখির মধ্যে রয়েছে ফ্লেমিংগো, রঙিন ফিজ্যাণ্ট, বিলুপ্তপ্রায় কুড়া, কাল শকুন এবং শঙ্খ চিল।
চিড়িয়াখানার উত্তর-দক্ষিণে লম্বাটে এলাকাজুড়ে রয়েছে ঘোড়া আকৃতির ওয়াটার বাক্, জেব্রা সহ আরো কিছু প্রাণি। রয়েছে এদেশ থেকে বিলুপ্ত নীলগাই। প্রাণি জাদুঘরে আছে ২৪০ প্রজাতির স্টাফিং করা জীব-জন্তু-পাখি। একেবারে দক্ষিণে আছে দক্ষিণ লেক, তার মাঝে বাবলা দ্বীপ। পাশেই কেনিয়ার এক শিংওয়ালা গন্ডার। আরো রয়েছে কানিবক, পানকৌড়ি ও মাছরাঙার মত পাখি। বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগারের (রয়েল শব্দটি বৃটিষদের দেয়া) আগেই দেখা মিলবে ভারতীয় সিংহের সাথে। সিংহের খাঁচা পেরোলেই বাঘ ও ভালুকের খাঁচা। রয়েছে চিতার মত দ্রুতগতিসম্পন্ন প্রাণি।
জাতীয় চিড়িয়াখানা প্রতি রবিবার বন্ধ থাকে। তবে রবিবার সরকারী ছুটির দিন হলে সেই রবিবার চিড়িয়াখানা খোলা থাকে। গ্রীষ্মকালে (এপ্রিল-অক্টোবর) সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং শীতকালে (নভেম্বর-মার্চ) সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। দুই বছরের বেশি যে কারও জন্যে মেইন গেইট প্রবেশ করতে টিকেট মূল্য ৫০ টাকা। জো মিউজিয়ামে প্রবেশ করতে টিকেট মূল্য ১০ টাকা। এছাড়া স্কুল, কলেজ এবং ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট এর ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড দেখালে প্রবেশ টিকেট মূল্য অর্ধেক।
কিভাবে যাবেন?
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানাগামী বাস চলাচল করে। এছাড়া নিজস্ব পরিবহণ ট্যাক্সি, সিএনজি কিংবা প্রাইভেটকার ভাড়া করেও চিড়িয়াখানায় যেতে পারবেন।