কার্জন হল | Curzon Hall 03/01/2022


PC:


PC: Abhijit Das

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানে কেবল একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নয় বরং এটি পুরোটা মিলে যেনো একটা ইতিহাস। ইতিহাসের গল্পে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভাবলে প্রথমে আমাদের মনে যেই ভবনের ছবি সবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে তা হচ্ছে কার্জন হল (Curzon Hall)। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় এই ভবনটিও আমাদের অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থিত প্রায় ১১৫ বছরের পুরনো একটি ঐতিহাসিক ভবন ও পুরাকীর্তি যা বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও জীব বিজ্ঞান অণুষদের পাঠদানে ব্যবহার করা হচ্ছে।

 

১৯০৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ভাইসরয় এবং ভারতের গভর্নর জেনারেল- লর্ড কার্জন এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। বঙ্গভঙ্গের পর ঢাকাকে প্রাদেশিক রাজধানী হিসাবে গড়ে তোলার জন্য রমনা এলাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভবন কার্জন হল নিমার্ণ করা হয়। ভাওয়ালের রাজপুত্র নির্মাণের জন্য অর্থ প্রদান করেছিলেন। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের পর কার্জন হল প্রাদেশিক রাজধানীর দফতর হিসেবে ব্যবহৃত হত। ঐতিহাসিক কার্জন হল থেকেই উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার বিরুদ্ধে প্রথম প্রকাশ্য প্রতিবাদ করা হয়। পরে, ১৯১১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে কার্জন হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যা আজও ব্যবহৃত হয়।

 

ইউরোপ ও মোগল স্থাপত্য রীতির অপূর্ব সংমিশ্রণে নির্মিত দ্বিতল এই কার্জন হল ভবনকে ঢাকার অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। লাল রঙা কারুকার্যময় এই ভবনের অভ্যন্তরে রয়েছে বিশাল একটি কেন্দ্রীয় হল। কার্জন হলের সামনে রয়েছে একটি সুন্দর বাগান। একটি চমৎকার রাস্তা পশ্চিম থেকে পূর্বে বাগানের ভেতর দিয়ে চলে গেছে। ভবনের পেছনের দিকে রয়েছে প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী মুসা খাঁ মসজিদ, একটি বিশাল পুকুর ও শেরে বাংলা ফজলুল হক হলের মূল আবাসিক ভবন। কার্জন হলের উল্টো দিকের রাস্তার অন্য পাশে রয়েছে শিশু একাডেমি এবং ঐতিহ্যবাহী দোয়েল চত্বর।

 

কিভাবে যাবেন?

রাজধানীর যেকোন জায়গা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কার্জন হল দেখতে আসতে পারবেন। অথবা বাসে করে শাহবাগ এসে, সেখান থেকে ১৫ থেকে ২০ টাকা রিক্সা ভাড়ায় চলে যেতে পারেন কার্জন হলে।

 

 

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?