সীতাকুন্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক | Botanical Garden and Eco-Park, Sitakunda 02/05/2021


PC:


চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রনাথ রির্জাভ ফরেস্ট ব্লকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সুশোভিত চিরসবুজ বনাঞ্চলে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক অবস্থিত। পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় থাকা চন্দ্রনাথ মন্দিরের পাদদেশে অবস্থিত বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক যা সীতাকুণ্ড উপজেলা সদর থেকে ২ কি.মি. দক্ষিণে ফকিরহাট বাজার সংলগ্ন মহাসড়কের পূর্ব পাশে।

 

পাহাড়, বৃক্ষরাজি, বন্যপ্রাণী, ঝর্ণা, পাখির কলরব ইকো পার্কটিকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। উঁচুনিচু পাহাড়, বানর, খরগোশ এবং হনুমান সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর সমাহার। বোটানিক্যাল গার্ডেনে একটি চমৎকার অর্কিড হাউসও আছে। এখানে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫০ ধরনের অর্কিড দেখতে পাবেন। রয়েছে দুর্লভ কালো গোলাপসহ প্রায় ৩৫ প্রকার গোলাপ, জবা, নাইট কুইন, পদ্ম, স্থলপদ্ম, নাগবল্লি, রঙ্গন, রাধাচূঁড়া, কামিনী, কাঠ মালতী, অলকানন্দা, বাগানবিলাস, হাসনাহেনা, গন্ধরাজ, ফনিকা মিলে রয়েছে ১৫০ জাতের ফুল। এর প্রধান নার্সারীতেই আছে দেশ-বিদেশের নানা প্রচলিত ও বিলুপ্ত প্রজাতীর ফুল, ফল ও ঔষধি গাছ যেমন– অর্জুন, তেলসুর, চাপালিস, চুন্দুল, করই, জারুল, তুন, জাম, জলপাই, গর্জন, ডেউয়া, হলুদ, গুটগুটিয়া, বাঁশপাতা, জারুল, পলাশ, ডুমুর, শিমুল, আমলকী, হরিতকী, বহেরা, নিম সহ আরো অনেক। 

 

ইকোপার্কের নির্দেশিত পথ ধরে দেড় কিলোমিটার এগোলে সুপ্তধারা ঝর্ণার সাইন বোর্ড ‘সুপ্তধারা ঘুমিয়ে পড়ি জেগে উঠি বর্ষায়’ দেখতে পাবেন যার প্রায় এক কিলোমিটার পাহাড়ি ট্রেইল পেরিয়ে দেখা মিলবে অনিন্দ্যসুন্দর ঝর্ণা সুপ্তধারার। আবার এক কিলোমিটার পর্যন্ত গেলে চোখে পড়বে সহস্রধারা ঝর্ণার সাইন বোর্ড। এই এক কিলোমিটার পথে রয়েছে পিকনিক স্পট, ওয়াচ টাওয়ার, হিম চত্বর। সেখানে সেট করা চেয়ারে বসে দূর সমুদ্রের রূপে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না।

 

সুপ্তধারাঃ

সুপ্তধরা, দেশের অন্যান্য ঝর্ণাগুলো মূলত গহীন পাহাড়ে মধ্যে অবস্থিত নয়। যাদের দীর্ঘ পথ হাঁটার এবং ট্র্যাকিং এর অভ্যাস নেই, তাদের জন্য বলা যায় এই ঝর্ণাটি প্রায় হাতের নাগালেই অবস্থিত। এক-দেড় ঘণ্টার পাহাড়ি পথ ও ৪০০/৫০০ সিঁড়ি ভেঙ্গে আরো আধাঘণ্টা ট্র্যাকিং করে এই ঝর্ণার ধারে পৌঁছাতে হয়। বর্ষা ব্যতীত অন্যান্য ঋতুতে ঝর্ণা তার যৌবন ছড়ায় না তা আমরা জানিই। তাই অফ সিজনে অল্প পরিমাণে কিছু জল সব সময় গড়িয়ে পড়লেও তাতে ঝর্ণার আসল রূপটা ধরা যায় না আসলে। এর জন্যই আপনাকে আসতে হবে বর্ষায়। পাথরের দেয়ালে জন্মানো বুনো গাছপালা, শ্যাওলা আর ঘাসের উপর দিয়ে পুরো দমে বেয়ে পড়ছে জল। মনকে বিমোহিত করে, চোখে বড় আরাম দেয় এইসব দৃশ্য।

 

সহস্রধারাঃ

প্রায় ২০০ ফুট উঁচুতে চমৎকার সুন্দর প্রকৃতির ভিতরে সৃষ্টিকর্তার এক অপরূপ স্থাপনা, নাম সহস্রধারা ঝর্ণা। ঘন সবুজ রাবারের গাছের মধ্য দিয়ে জলপ্রপাতের স্রোত মুগ্ধকর সৌন্দর্যে যেনো উপচে পড়ে। এই অত্যাশ্চর্য দর্শন আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ ও রোমাঞ্চিত করবে। এই জলপ্রপাতটিতে প্রকৃতির মায়াবী সৌন্দর্য রয়েছে যা আপনার হৃদয়কে সতেজ করবে এবং নিদারূণ ভাবাবে। আপনি যতক্ষণ পারেন গোসল করতে করতে এর আকর্ষণীয় দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।

 

কিভাবে যাবেন?

চট্টগ্রামের মাদারবাড়ী ও কদমতলী বাস ষ্টেশন থেকে সীতাকুণ্ড যাবার বাসগুলো ছাড়ে। এ ছাড়া অলঙ্কার থেকে মেক্সীতে করে সীতাকুণ্ডের ফকিরহাট যাওয়া যায়।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?