মহামায়া লেক | Mohamaya Lake 02/05/2021


PC:


মহামায়া লেক চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত কৃত্রিম সৌন্দর্য হিসাবে পরিচিত। মিরসরাইয়ের দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঠাকুরদীঘি বাজার থেকে ২ কিলোমিটার দূরে ১১ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে মহামায়া লেক বিস্তৃত। লেকের স্ফটিক জল ছাড়াও এই জায়গায় পাহাড়ের মাঝে একটি গুহা, কিছু প্রাকৃতিক ঝর্ণা এবং কিছু রাবার ড্যাম রয়েছে।

 

ছোট বড় অসংখ্যা পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত এই মহামায়া লেক দেখলে বিশ্বাস ই হবে না এটি কৃত্রিমভাবে গঠিত। একে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে ইকোপার্ক। নৌকা দিয়ে লেকে ঘুরাঘুরির পাশাপাশি ,আপনি চাইলে নিরিবিলি স্থানে বসে বর্শি দিয়ে মাছ ধরতে পারবেন । অবশ্য এজন্য আপনাকে বর্শি আগে থেকে নিয়ে যেতে হবে। পর্যটকদের দারুণ এডভেঞ্চারের স্বাদ দিতে এখানে  রয়েছে কায়াকিং এর  ব্যবস্থা। চারদিকে পাহাড় আর সবুজ ঘেরাও লেকের স্বচ্ছ জলে কায়াকিং এর আনন্দ নিতে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটকের ভিড় হয় এখানে।

 

কিভাবে যাবেন?

মাদারবাড়ী ও কদমতলী বাস স্টপ থেকে মিরসরাই যাওয়ার বাস, সিএনজি, অটোরিক্সা ও মাইক্রোবাস পাবেন। এছাড়া চট্রগ্রাম শহরের মাদার বাড়ি থেকে সরাসরি “চয়েস” বাসে ৮০ টাকা ভাড়ায় ঠাকুরদিঘী বাজারে আসতে পারবেন। আবার চট্টগ্রাম নগরের অলংকার সিটি গেইট থেকে কিছু লোকাল বাসে করে ৪০ থেকে ৬০ টাকা ভাড়ায় মিরসরাই থানার ঠাকুর দিঘী যাওয়া যায়। ঠাকুরদিঘী থেকে জন প্রতি ১৫-২০ টাকা সিএনজি ভাড়ায় চলে যেতে পারবেন মহামায়া ইকোপার্ক এর মেইন গেইটে। অথবা সিএনজি রিজার্ভ করে (ভাড়া ৮০ -১২০ টাকা) চলে আসবেন মহামায়া ইকো পার্ক। এই ইকো পার্কের ভিতরেই মাহামায়া লেকের অবস্থান।

 

কোথায় খাবেন?

পার্কে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা নেই। নিজ থেকে খাবার নিয়ে যেতে হবে। ঠাকুরদিঘী বাজারে ছোট হোটেল আছে দেশী খাবার খেতে পারবেন। মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড বাজারে গেলে মোটামুটি মানের আরো কিছু খাওয়ার হোটেল পাবেন সেখান থেকে খেয়ে নিতে পারবেন। সীতাকুন্ডের পৌরসভার সামনে আল আমিন হোটেলের বেশ সুনাম রয়েছে।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?