কোদালা চা বাগান | Kodala Cha Bagan 02/05/2021


PC:


দিগন্ত জোড়া সবুজ বন-বনানীর সৌন্দর্যে নিজেকে চাঙ্গা করতে প্রকৃতির সান্নিধ্য খোঁজেন সকল প্রকৃতি প্রেমী। পাহাড় হোক কিংবা অরণ্য ভ্রমণপ্রেমীরা ও প্রকৃতিপ্রেমীরা সুযোগ পেলেই ছুটেন তাতে। সবুজের বুকে খুঁজে পান প্রশান্তির ছোঁয়া। কর্মব্যস্ত জীবন থেকে যারা একটু অবসর নিয়ে প্রকৃতির সাথে হারাতে চাচ্ছেন তারা চলে যেতে পারেন রাঙ্গুনিয়ার কোদালা চা বাগানে।

 

চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া সদর উপজেলা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে কোদালা ইউনিয়নে এই ঐতিহ্যবাহী কোদালা চা বাগানের অবস্থান। চা বাগানের পাশ দিয়ে রূপের মাধুরী ছড়িয়ে বয়ে গেছে লুসাই কন্যা কর্ণফুলী। চা বাগানের দৃষ্টি নন্দন ব্রিটিশ বাংলো, পাখির খঁচিমিচির শব্দ আর চা শ্রমিকদের প্রতিদিনকার ক্লান্তিহীন কর্মযজ্ঞ বিনোদন প্রেমিকদের স্বপ্ন দেখাবে রূপকথার অজানা এক রাজ্যের।

 

জনশ্রতি রয়েছে, বৃটিশরা কর্নফুলী নদী দিয়ে আসা যাওয়ার সময় বিস্তীর্ণ ফাকা জায়গা দেখে চা বাগান করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। আর সেই থেকে কোদালা চা বাগান গড়ে উঠে। ১৮৯৪ সালে চা বাগানটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৬ সালে তৎকালীন সরকার ব্যক্তি মালিকানায় লিজ দিয়ে চা-বাগানগুলো ছেড়ে দেন। লোকসানের কবলে পড়ে প্ল্যাটাস বাংলাদেশ থেকে ১৯৯৩ সালে আনোয়ার গ্রপ চা-বাগানটি লিজ নিয়ে নেয়। আনোয়ার গ্রুপও লাভের মুখ দেখতে না পাওয়ায় ২০০৪ সালে ৭ অক্টোবর বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে বাংলাদেশ চা বোর্ডের আওতায় আনুষ্ঠানিকভাবে ব্র্র্যাক এই আড়াই হাজার একর জায়গার চা বাগানের লিজ নেন। বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বমোট ১৬২টি চা বাগানের মধ্যে গুণে মানে ও আয়ে কোদালা চা বাগানের অবস্থান তৃতীয়।

 

এছাড়া চা ও রাবার বাগানের পাশাপাশি নানা প্রজাতির গাছের চারা নবনায়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি আম, আগর, নিম ও মুলি বাঁেশর চাষও করা হয়েছে এই বাগানে।  প্রতিদিনকার শত শত পর্যটকদের আনাগোনা আর বাগানের আর্কষনীয় মনোরম দৃশ্য ধারণ করতে ছুটে আসছে বিভিন্ন ইলেকট্রন্ক্সি চ্যানেল , টেলি ফিল্ম, চলচ্চিত্র নির্মাতারা । স্যুটিং হচ্ছে নানা ছবি, টেলিফিল্মের। আর এসব কিছু মিলে কোদালা চা বাগান এখন রাঙ্গুনিয়ার এক ব্যস্ততম এলাকার নাম।

 

কিভাবে যাবেন?

চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান হয়ে কোদালা চা বাগানের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই রোডে চলাচলকারী বাসে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান অথবা সরফভাটা গোডাউন এলাকায় নেমে সিএনজি বা অটোরিক্সা নিয়ে ৫ কিলোমিটার দূরের কোদালা চা বাগান যাওয়া যায়।

 

কোথায় খাবেন?

চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকায় কিছু স্থানীয় খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্টে সুলভ মূল্যে খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম শহরে বারকোড ক্যাফে, মিলেঞ্জ রেস্টুরেন্ট, গ্রিডি গাটস, ক্যাফে ৮৮, সেভেন ডেইজ, ধাবা, হান্ডির নাম, গলফ গার্ডেন রেস্টুরেন্ট, কোষ্টাল মারমেইড রেস্টুরেন্ট এন্ড লাউঞ্জ, বোনানজা পোর্ট রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট রয়েছে।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?