ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
এশিয়া মহাদেশের দুটি উল্লেখযোগ্য জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের অন্যতম একটি অবস্থিত জাপানে আর অন্যটি আছে চট্টগ্রামে। এই যাদুঘর ১৯৬৫ সালে চট্টগ্রাম জেলার আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যা মূলত বাংলাদেশের বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর দৈনন্দিন জীবনপ্রণালী এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহকর্মী-অনুভূতি লালনের জন্য প্রতিষ্ঠিত। ১.২৫ একর জমিতে নির্মিত চট্টগ্রামের জাতিতাত্বিক যাদুঘরটি জাপানের মতো এশিয়ার অন্যান্য অনুরূপ যাদুঘরের তুলনায় আকার এবং সংগ্রহের চেয়ে বড়। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উদ্যোগে জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়। জানুয়ারি ৯, ১৯৭৪ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী ইউসুফ আলী এই জাদুঘর উদ্বোধন করেন।
পাঁচটি ভাগে বিভক্ত জাদুঘরটিতে ৪টি গ্যালারী ও ১টি হলে ২৯টি বিভিন্ন নৃতাত্বিক গোষ্ঠীর জীবনধারা তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল সহ ভারত উপমহাদেশের অন্যান্য নৃতাত্বিক গোষ্ঠী চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, চাক, তঞ্ছইংগ্যা, মুরাং, খুমি, গারো, বম, পাঙ্খো, লুসাই, খেয়ঙ, মণিপুরী, খাসিয়া, ওরাও, হাজং, মান্দাই, ঢালু, হোদি, বনা, পালিয়া, কোচ, রাজবংশী, সাঁওতাল, টিপরা এবং সিমুজী অর্ন্তভুক্ত রয়েছে। ৩টি গ্যালারীতে ২৫টি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর নানা রকমের সামগ্রী যেমন, অস্ত্র, ফুলদানী, কাপড়, নৌকা, কাচি, অলঙ্কার, বাঁশের পাইপ ইত্যাদি, এবং বাকি গ্যালারীতে ভারত, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার কিছু সাম্প্রদায়ের জীবনপ্রণালী চিত্র, মডেল আকারে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা আছে।
এছাড়াও পাকিস্তানের পাঠান, সোয়াতি, সিন্ধি, কাফির এবং পাঞ্জাবি এই পাঁচটি গোষ্ঠির ভগ্নাবশেষ সংরক্ষণ করা হয়েছে। ভারতীয় নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে আদি, মুরয়িা, মিজো এবং ফুতোয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। হলরুমের মানচিত্র এবং দেয়ালচিত্রের মাধ্যমে উপজাতিদের বিভিন্ন উৎসব ও সংস্কৃতি সম্পর্কেও ধারণা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এবং উল্লেখযোগ্য হিসেবে রয়েছে ১৯৮৯ সালে ভেঙে ফেলা জার্মানির বার্লিন প্রাচীরের টুকরো অংশ।
নৃতাত্ত্বিক জিনিসপত্র ছাড়াও জাদুঘরে একটি গ্রন্থাগার ও সুন্দর গুছানো বাগান রয়েছে। জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ১০ টাকা। জাদুঘরটি প্রতি সপ্তাহের রবিবার এবং সকল সরকারী ছুটির দিনে বন্ধ থাকে।
কিভাবে যাবেন?
চট্টগ্রাম শহরের যেকোন স্থান থেকে বাস, সিএনজি ও রিকশায় চড়ে আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরে যেতে পারবেন।
কোথায় খাবেন?
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবারের জন্য হোটেল জামানের বেশ সুনাম রয়েছে। আর মেজবানি খাবারের জন্য চকবাজারের মেজবান হাইলে আইয়্যুন রেস্তোরাঁ প্রসিদ্ধ। এছাড়া চট্টগ্রাম শহরে অসংখ্য ভালমানের খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ছড়িয়ে আছে। এদের মধ্যে বারকোড ক্যাফে, ক্যাফে ৮৮, গ্রিডি গাটস, সেভেন ডেইজ, গলফ গার্ডেন রেস্টুরেন্ট, কোষ্টাল মারমেইড রেস্টুরেন্ট এন্ড লাউঞ্জ, বোনানজা পোর্ট রেস্টুরেন্ট প্রভৃতি অন্যতম।