ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
সীতাকুন্ডের প্রসিদ্ধ লবণাক্ষকুন্ড ও অগ্নিকুন্ড মূলত বুদবুদ করে বেরোনো গ্যাসে জালানো অগ্নিকুন্ডকে উপজীব্য করেই পীঠস্থান নামে গড়ে উঠেছে। পৌরাণিক এ অঞ্চলের পাহাড়ের এদিকে সেদিক শত শত ছড়া। একেকটা ছড়ায় একেক বিস্ময় লুকিয়ে রাখা। তেমনি এক ছড়ায় খুঁজে পাওয়া গেলো রহস্যময় এক প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, কুমারীকুন্ড। স্থানীয়রা একে বাড়বকুন্ডও বলে থাকেন।
যুগের ব্যবধানে ও মূল তীর্থ অঞ্চল থেকে অন্তত দশ কিলোমিটার দূরত্বজনিত দূর্গমতার কারণে মানুষ যার কথা ভাবতে হয়তো বিষ্মিত হয়েছে। পাথর দিয়ে বাঁধানো ৮-১০ ফুট গভীর স্বচ্ছ নীল পানির কূপ বা চৌবাচ্চা বলা যায়। পরিষ্কার নীল পানির নীচ থেকে অনবরত নির্গত হচ্ছে গ্যাসের বুদবুদ। আর অদ্ভুদ আকারের সব পাথর মন্দিরের চারপাশের দেয়ালের জায়গা দখল করে নিয়েছে।
কালভৈরবী মন্দিরটি এবং গরম পানির এই ফোয়ারাটি নিয়ে বেশ কিছু পৌরাণিক ধাঁচের গল্প প্রচলিত রয়েছে। সেই গল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি গল্প হলো, এই কালভৈরবী মন্দিরে নাকি আগে একসময় দেয়া হতো নরবলি। কিন্তু কালভৈরবী মন্দির এর পুরোহিত, অর্থাৎ যিনি সেখানকার দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করছেন, তার ভাষ্য মতে, ‘শিব ও পার্বতী দুজন ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। একদিন পার্বতীর বাবা শিবকে অপমান করছিলেন। অপরদিকে পার্বতী বিষয়টি সহ্য করতে না পারার কারণে দেহত্যাগ করেন। খবরটি পাওয়ার পর শিব যখন পার্বতীকে এই অবস্থায় দেখতে পান, তখন রাগ করে শিব পার্বতীকে নিয়ে শুরু করেন তাণ্ডব নৃত্য। তখন পৃথিবী প্রায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল শিবের এই তাণ্ডব নৃত্যের জন্য। সেসময় পৃথিবী যেন ধ্বংস না হয় তাই বিষ্ণু শিবকে ঠাণ্ডা করার উদ্দেশ্যে পার্বতীর শরীরকে বিষ্ণুর চক্র দিয়ে ৫১টি ভাগে বিভক্ত করে দেন। সেই ৫১টি বিভক্ত টুকরার ১টি ভাগ এসে পড়েছে সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডের এই জায়গাটিতে। সেজন্যই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে সীতাকুণ্ড একটি পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত।’ তবে এই পৌরাণিক কাহিনীর কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। লোকমুখে চলে আসা কাহিনীও হতে পারে।
কিভাবে যাবেন?
ফেনী থেকে চট্টগ্রামের লোকাল বাসে উঠলে বাড়বকুন্ড বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিবে ৫০ টাকার বিনিময়ে। এরপর সেখান থেকে সিএনজি যোগে ২০ টাকায় ট্রেইলের মাথায় নামিয়ে দিবে। সঠিক ডিরেকশনের জন্য স্থানীয়দের সাহায্যও নিতে পারেন।
কোথায় খাবেন?
সীতাকুণ্ডে সাধারণ মানের হোটেলের মধ্যে সৌদিয়া রেস্টুরেন্ট, আপন রেস্টুরেন্ট এবং আল আমিন উল্লেখ্যযোগ্য। তবে ভাল খাবার পরিবেশনায় এখানে আল আমিনের বেশ সুনাম রয়েছে।