পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত | Patenga Sea Beach 02/05/2021


PC:


বাংলাদেশের জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হল এই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম শহর থেকে ১৪ কি.মি. দক্ষিণে এটি কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নৌ একাডেমী এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সন্নিকটে তাই রাতের বেলা এখানে নিরাপত্তা বেশ ভালো এবং রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো থাকে।

 

পতেঙ্গায় সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্তের দৃশ্যের কোনো বিকল্প নেই।  বিশেষ করে বিকেল, সূর্যাস্ত ও সন্ধ্যার সময়টুকু হৃদয় ছুয়ে যাবে আপনার। স্থানীয় লোকের মতে, এখানে সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবার অত্যন্ত সস্তায় পাওয়া যায়। তেমনি একটি জনপ্রিয় খাবার হল,মসলাযুক্ত কাঁকড়া ভাজা, যা সসা ও পিঁয়াজের সালাদ সহকারে পরিবেশন করা হয়।

 

১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে এই সৈকতটি ভয়াবহ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে সমুদ্র সৈকতে সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা বেড়ি বাঁধ দেয়া হয়েছে। সৈকতটি রক্ষণাবেক্ষণ করায় এর সৌন্দর্য অনেকটা বেড়েছে। সমুদ্রে ঘুরে বেড়ানোর জন্য স্পীড-বোট, সমুদ্র তীরেই ঘুরে বেড়ানোর জন্য সী-বাইক এবং ঘোড়ার ব্যাবস্থা রয়েছে। ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পতেঙ্গা সৈকতকে আধুনিক ও বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ চলছে এখনো।

 

কিভাবে যাবেন?

চট্টগ্রাম শহর নিজস্ব গাড়ি, সিএনজি বা লোকাল বাসে করে পতেঙ্গা যেতে পারবেন। চট্টগ্রাম শহর থেকে যেতে সময় লাগবে এক ঘন্টার মত। সিএনজি দিয়ে গেলে ভাড়া নিবে ২৫০-২৮০ টাকার মত। বাসে যেতে চাইলে বেশ কিছু জায়গা থেকে সী বীচ গামী বাস লোকাল পাওয়া যায়, তার মধ্যে নিউমার্কেট, রেল স্টেশন রোড, বহাদ্দারহাট, লালখান বাজার মোড়, জিইসি মোড় এবং চক বাজার মোড় থেকে বাস পাবেন।

চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের সামনে থেকে যেতে চাইলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে ৬ নং বাস পাবেন। তবে জিজ্ঞেস করে নিবেন সী বীচ পর্যন্ত যাবে কিনা। যদি বাস ফ্রিপোর্ট বা কাঠগড় পর্যন্ত যায় তাহলেও যেতে পারেন। সেখানে থেকে নেমে ইজিবাইকে করে বীচে যেতে পারবেন।

 

কোথায় খাবেন?

পতেঙ্গা সী বিচেই স্ট্রিট ফুডের দোকান রয়েছে। সেখানে মজাদার বেশ কিছু খাবার পাওয়া যায় যেমন ভাজাপোড়া, পেয়াজু, কাঁকড়া ভাজা সহ সামুদ্রিক মাছ ভাজা খেতে পারেন। এছাড়া ফূড কোর্ট গুলোতে ফাস্ট ফুড আইটেম পাবেন খাওয়ার জন্যে।

যদি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবার চেখে দেখতে চান তবে চট্টগ্রাম শহরে এসে চলে যেতে পারেন হোটেল জামান-এ। আর মেজবানি খেতে চাইলে চলে যেতে পারেন চকবাজারে অবস্থিত “মেজবান হাইলে আইয়্যুন” রেস্তোরায়। এছাড়াও চট্টগ্রাম শহরে ছড়িয়ে আছে বেশকিছু ভাল মানের রেস্টুরেন্ট এদের মধ্যে বারকোড ক্যাফে, মিলেঞ্জ রেস্টুরেন্ট, গ্রিডি গাটস, ক্যাফে ৮৮, সেভেন ডেইজ, ধাবা, হান্ডির নাম, গলফ গার্ডেন রেস্টুরেন্ট, কোষ্টাল মারমেইড রেস্টুরেন্ট এন্ড লাউঞ্জ, বোনানজা পোর্ট রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?