কুমিরাঘাট | Kumira Ghat | Sandwip Ship Ghat 02/05/2021


PC:


জাহাজ ভাঙা শিল্পের হাত ধরে সীতাকুণ্ড সমুদ্র সৈকত বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হলেও এখান থেকে সন্দীপ যাবার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ফেরিঘাট। সীতাকুণ্ড উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়নের নাম কুমিরা। আর এই ইউনিয়নের নামের জের ধরেই ঘাটের নাম রাখা হয়েছে ‘কুমিরাঘাট’।

 

জেটি ধরে হাঁটতে হাঁটতে প্রায় সমুদ্রের ভেতরের দিকে অনেকখানি পথ পার হয়ে সমুদ্র দেখার অভিজ্ঞতা একেবারেই আলাদা। পশ্চিমাকাশে জোয়ারের সময় সূর্যাস্ত দেখতে পেলে গোধূলি রঙের ঢেউ যে কোন প্রকৃতি প্রেমিককে নিমিষেই মুগ্ধ করে দেবে। এছাড়া জেলে পল্লী, শিপইয়ার্ডের দৈনন্দিন ব্যস্ততা, কুমিরা ব্রিজ থেকে ছেড়ে যাওয়া জাহাজ কিংবা প্রতিনিয়তের ব্যস্ততা দেখে ফেরার পথে জেলে পল্লী থেকে কেনা তাজা মাছ হতে পারে বাড়তি পাওনা।

 

আসরের পর কুমিরা ঘাটে যাওয়াই সবচেয়ে উত্তম সময়। তাহলে সন্ধ্যা নামার পর ফিরে আসার সময় ইয়ার্ডের সোডিয়াম লাইটগুলো জ্বলে উঠার পর যে অপার্থিব সৌন্দর্য্যের দেখা মিলে তা চোখে লেগে থাকবে অনেক দিন। তাছাড়া সমুদ্রে আরো গভীরে যেতে চাইলে অথবা বিশাল বিশাল জাহাজগুলো খুব কাছ থেকে দেখতে বোট ভাড়া করতে পারেন। মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত হয় তাই সবসময় বোট পাওয়া যায় না। তবে বন্ধের দিনগুলো দর্শনার্থীদের চাপ বেশি থাকে বলে পর্যাপ্ত বোট ঘাটে মওজুদ রাখা হয়। এসব বোটে চড়তে জনপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা ভাড়া গুনতে হয়।

 

কিভাবে যাবেন?

শহরের অলংকার বা এ কে খান মোড় থেকে সেইফ-লাইন সার্ভিসে ৩০-৩৫ টাকা ভাড়ায় কুমিরা ঘাটঘর রোড যাওয়া যায়। আবার নিউ মার্কেট থেকে ৭ নাম্বার মেট্রো সার্ভিসে করে ২৭ টাকা ভাড়াতে কুমিরা ঘাটঘর রোড যাওয়া যায়। কুমিরা ঘাটঘর রোড থেকে ১০-২০ টাকা ভাড়ায় টমটম কিংবা রিক্সায় করে কুমিরা-সন্দ্বীপ ফেরীঘাট ব্রীজ পৌঁছানো যায়।

 

কোথায় খাবেন?

কুমিরা ঘাটে খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা নেই। তবে কিছু ছোট খাওয়ার হোটেল আছে, সেগুলিতে ভাত, মাছ, মাংস, ভর্তা ভাজি দিয়ে খেতে পারবেন। এছাড়া চাইলে সীতাকুন্ড বাজারে গিয়ে আল আমিন, আপন কিংবা সৌদিয়া রেস্তোরায় খেতে পারবেন।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?