গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকত | Guliakhali Sea Beach 02/05/2021


PC:


অনবদ্য সুন্দর গুলিয়াখালীকে সাজাতে প্রকৃতি কোনও প্রয়াস ছাড়েনি। দিগন্তের সমুদ্রের জল এবং অন্যদিকে কেওড়া বন এই সৈকতটিকে অনন্য করে তুলেছে। কেওড়া গাছের শিকড় কেওড়া বনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খালের চারপাশে দেখা যায় যা বনটি সমুদ্রের মধ্যে চলে গেছে। চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড উপজেলায় অবস্থিত গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত সীতাকুণ্ড বাজার থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে স্থানীয়দের কাছে ‘মুরাদপুর বিচ’ নামে পরিচিত।

 

গুলিয়াখালি সৈকতকে ভিন্নতা দিয়েছে সবুজ গালিচার বিস্তৃত ঘাস। সাগরের পাশে সবুজ ঘাসের উন্মুক্ত প্রান্তর নিশ্চিতভাবেই আপনার চোখ জুড়াবে। বীচের পাশে সবুজ ঘাসের এই মাঠে প্রাকৃতিক ভাবেই জেগে উঠেছে আঁকা বাঁকা নালা। এইসব নালায় জোয়ারের সময় পানি ভরে উঠে। চারপাশে সবুজ ঘাস আর তারই মধ্যে ছোট ছোট নালায় পানি পূর্ণ এই দৃশ্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। অল্প পরিচিত এই সৈকতে মানুষজনের আনাগোনা কম বলে আপনি পাবেন নিরবিলি পরিবেশ। চাইলে দরদাম করে  জেলেদের বোটে করেও ঘুরে আসতে পারেন সমুদ্রে।

 

কিভাবে যাবেন?

চট্রগ্রামের অলংকার মোড়, এঁকে খান মোড়, কদমতলী থেকে সীতাকুণ্ড যাবার বাস ও মেক্সি পাওয়া যায়। পছন্দ মতো জায়গা থেকে চলে আসতে পারবেন সীতাকুণ্ড বাজারে।

সীতাকুন্ডের বাস স্ট্যান্ড ব্রীজের নিচ থেকে সরাসরি সিএনজি/অটো নিয়ে গুলিয়াখালি বীচের বাঁধ পর্যন্ত চলে যেতে পারবেন। গুলিয়াখালি বীচের বাঁধ পর্যন্ত জনপ্রতি অটো ভাড়া নিবে ৩০ টাকা, আর অটো রিজার্ভ নিয়ে যেতে চাইলে ভাড়া লাগবে ১৫০-২০০ টাকা। ভাড়ার পরিমাণ অবশ্যই দরদাম করে ঠিক করবেন। সীতাকুণ্ড ফিরে আসার জন্যে আগে থেকেই সিএনজি চালকের নাম্বার নিয়ে রাখতে পারেন। অথবা যাওয়া আসা সহ রিজার্ভ করে নিতে পারেন। সন্ধ্যা হয়ে গেলে অনেক সময় ফিরে আসার সময় সিএনজি/অটো পাওয়া যায় না।

 

কোথায় খাবেন?

গুলিয়াখালি সি বিচে খাবার কোন ব্যবস্থা নেই। শুধুমাত্র সী-বিচে ছোট একটি দোকান আছে তাই প্রয়োজনে সীতাকুণ্ড বাজার থেকে সাথে খাবার নিয়ে নিন।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?